বউ পেটানো আর নয়! নিজেই জানোয়ার ছেলেদের চাপকে সিধে করলেন মধুবালা!

Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল বর্তমানে ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই ধারাবাহিক শুরু থেকেই দর্শক মহলে

Nandini

kar kache koi moner katha serial madhubala stand for shimul and beat her son's

Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল বর্তমানে ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই ধারাবাহিক শুরু থেকেই দর্শক মহলে বেশ চর্চিত হয়েছে। ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্র তাদের মত করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। আর সম্প্রতি, শিমুল আর তার শাশুড়ির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা বন্ডিং দর্শকের মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। শিমুলের শাশুড়িকে শুরু থেকেই দেখানো হয়েছে একরোখা ও অত্যাচারী।

আসলে, নিজের ফেলে আসা সময়ে শ্বশুরবাড়িতে যে ব্যবহার যে অত্যাচার তিনি পেয়েছেন শিমুলকে নিজের ছেলের বউ হিসাবে পেয়ে সেই রাগ মিটিয়ে নিতেই উদ্যোগী ছিলেন তিনি। কিন্তু তার নিজের ছেলেদের আচরণ বারেবারে কোথাও গিয়ে তার স্বামীর তার উপর অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই তিনি বউ এর মনের কথা উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, শিমুলকে প্রতিবাদ করতে দেখে কোথাও তার অসহায় মন আজ রুখে দাঁড়াতে তাকে সাহস জুগিয়েছে।

kar kache koi moner katha serial madhubala beat her son's for torture shimul

 

যখন তার দুই ছেলে নিজেদের দিদির প্রতি অত্যন্ত অবহেলার বহিঃপ্রকাশ করেছে বারেবারে। সেখানে শিমুল পরের বাড়ি থেকে আসা একটা মেয়ে হয়েও পুতুলকে আপন করে নিয়েছে ঠিক নিজের দিদির মতন করে। পুতুল মানসিক ভাবে অসুস্থ হলেও তার এক গুন্ আছে, সে গান গাইতে পারে। তাই শিমুল নিজের ইচ্ছাপূরণের পাশাপাশি পুতুলের গুনকেও সকলের কাছে তুলে ধরতে চায়।

শিমুল পরিস্থিতির শিকার হয়ে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হলেও, তা মুখ বুঝে মেনে নেয়নি। তার প্রচেষ্টা তাকে ঠিক পথ করে দিয়েছে এগিয়ে চলার। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের হাত ধরে সে নিজে পাড়ার বন্ধুদের আর পুতুলকে সাবলম্বী করার একটা ছোট্ট শুরু ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। তবে, পরাগ বা পলাশ তো এত তাড়াতাড়ি শুধরে যাবার মানুষ নয়। তারা তো ক্রমশ চেষ্টা করে যাচ্ছে শিমুলকে দমিয়ে দেওয়ার।

kar kache koi moner katha serial madhubala stand for shimul

 

কারণ শিমুল মাথা তুলে দাঁড়ালে তারা যে কোনঠাসা হয়ে পর্বে সেই উপলব্ধি তাদের ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। দিন প্রোগ্রাম শেষে শিমুলের সাথে পরাগ আবার বাড়িতে অশান্তি শুরু করে। শুধু তাই নয় শিমুলকে লাঠি উঁচিয়ে মারতে পর্যন্ত যায়। কিন্তু মধুবালা রুখে দাঁড়ান। তিনি সেই লাঠি তার নিজের ছেলেদের পিঠেই ভাঙেন। আর স্পষ্ট বলে দেন এইসব তিনি আর সহ্য করবেননা।

× close ad