জি বাংলার (Zee Bangla) নতুন শুরু হওয়া সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) শুরু থেকেই দর্শকের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। আসলে এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে একটা মেয়ে অচেনা শ্বশুরবাড়িতে এসে কতটা একা হয়ে পরে। মানিয়ে নেওয়া কতটা অসম্ভব যখন অপর দিকে মানুষ গুলো সবসময় কাউকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়ে রেখেছে। শিমুল শ্বশুরবাড়ি এসে একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিল।
তবে তার প্রতিবেশী কিছু বন্ধু বিপাশা, সুচরিতা এরা শিমুলের মনের খুব কাছাকাছি জায়গা করে নিয়েছে। তারা শিমুলের বিপদে সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়তে তৎপর। শিমুল নিজের মনের কথা কিছুটা তাদের সাথে ভাগ করে নিতে পারে। অন্যদিকে, শিমুলের শাশুড়ির মন ধীরে ধীরে গলছে শিমুলের প্রতি। তিনি শিমুলকে বুঝতে চেষ্টা করছেন।
কিন্তু শিমুলের স্বামী পরাগ? সে কিন্তু শিমুলকে এখনও একজন রক্তমাংসের মানুষ বলেই যেন মনে করেনা। তার জন্য শিমুল নিজের বিয়ে করা বউ, যার উপর শারীরিক, মানসিক অত্যাচারের অধিকার পরাগের আছে। পরাগ চরিত্রটি এতটাই অমানবিক যে, যেকারুর সামনে শিমুলের গায়ে হাত তুলতে তার বাঁধেনা। আর সম্প্রতি, ধারাবাহিকে এমন দৃশ্যে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যারা নিয়মিত ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন যে, শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে শতদ্রু এসেছে। তার বোনের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে। শতদ্রু এমন সময়েই এসেছে যে সময়ে শিমুলের বাড়িতে কেউ ছিলনা। আর পুতুল ঘরে ঘুমোতে চলে যায়। যদিও এটা একদিক থেকে পলাশ আর প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্র ছিল। তবে শিমুল সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শতদ্রুর সামনেই অপমানিত হল নিজের স্বামীর কাছে।
পরাগ শিমুল আর শতদ্রুকে একসাথে দেখে নোংরা কথাবার্তা বলতে আরম্ভ করে। আর পলাশ-প্রতীক্ষা সেই কথায় সায় দিয়ে আরও নোংরা কথা বলে শিমুলের চরিত্রে দাগ লাগাতে থাকে। আর পরাগ শুধু অপমানেই থেমে থাকেনা। সে শিমুলের চুলের মুটি ধরে থাকে মারে। আর বলে তার মত মেয়েদের মেরে চামড়া গুটিয়ে নেওয়া উচিত। এই ধারাবাহিকের গল্প বাস্তবসম্মত অনেক অনুরাগীদের মতেই। কিন্তু এতটা নির্যাতন দর্শক মেনে নিতে পারছেননা। তারা বেশ ক্ষুব্ধ।