বরফ সবসময় কঠিন থাকেনা, কোনো কিছুর সংস্পর্শে এসে গলে জল হয়ে যায়। তাপ পেলে বরফ জল হয়, আর মানুষের হৃদয় যখন বরফের মতো কঠিন হয়ে যায়, সেখানে সামান্য ভালোবাসা, সহানুভূতি পেলেই সেই মনুষ্য হৃদয়ের বরফও গলে জল হয়। আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)র শিমুলের শাশুড়ি মধুবালার ক্ষেত্রে।
শিমুলের প্রতি মধুবালা দেবীর ভালোবাসা যেন বাড়ছে। ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে শতদ্রুকে নিয়ে শুরু হয়েছে শিমুলের শ্বশুর বাড়িতে তুমুল অশান্তি। তখন শিমুলের শাশুড়ি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তীর্থে গিয়েছিলেন। আর তাই তাঁর ফেরার অপেক্ষায় ছিল সকলে। মধুবালা দেবী বাড়ি ফিরতেই বাড়িতে বসানো হয় বিচারসভা। এই বিচারসভার দায়িত্বে ছিল পরাগ।
উপস্থিত ছিলেন স্কুলের হেড মাস্টার মশাই এবং কাকিমা। প্রধান অতিথি স্কুলের হেড মাস্টার মশাই এসেও কোনো লাভ হল না পরাগের। তিনি সব কথা শুনে সব দিকটা বিবেচনা করে শিমুলেরই পক্ষ নেয়। শিমুল জয়ী হয়। যে দুজন শিমুলকে এত কষ্ট দিচ্ছে, বিচারসভা করছে, তাদের জন্য কেন সে খাটবে। তাই শাশুড়িকে জানিয়ে দেয় পলাশ আর পরাগের জন্য সে রান্না করতে পারবেনা।
একথা শুনে শাশুড়ি রেগে যাননি, বরং শিমুলকে তিনি বুঝিয়েছেন। এরকম করলে অশান্তি কমবে না। তিনি জানান, ‘ আমি তোমাকে মায়ের মতো একটা কথা বলি মানিয়ে নাও। অশান্তিকে বাড়তে দিওনা, আমার যে ক্ষমতা নেই, সেই ক্ষমতা তোমার আছে। বৌমা আমার ছেলেটাকে একটু বদলে দাও’।
এরপরই শিমুল বলে, পরাগের চরিত্রের কথা। একসময় তার শাশুড়ির সাথেও এমনটা হয়েছিল। সেই অতীতের কথা মনে পড়ে যায় মধুবালা দেবীর। এরপর তিনি শিমুলকে বোঝান একদিনে তো আর সবটা ঠিক হয়ে যায়না। এত ভালো ব্যবহার মধুবালা দেবীর। তা দেখে অবাক হয়ে দর্শকরা। সত্যিই কি ভালো হয়ে গেল শিমুলের শাশুড়ি? উত্তর মিলবে আগামী পর্বগুলোতে।