যে যাকে চায়, সে তাকে পায়না আর যে যাকে চায়না সে তাকেই পায়। এই বাক্যটি মিলে গেছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকের শিমুলের জীবনে। শিমুল ভালোবাসত শতদ্রুকে, কিন্তু শতদ্রুর সাথে সম্পর্কের বন্ধন তৈরি হয়নি। তার সম্পর্কের বন্ধন তৈরি হয়েছে পরাগের সাথে। কিন্তু সেই পরাগ শিমুলের জীবন সঙ্গিনী হওয়ার যোগ্য নয়।
শিমুলের আদর্শ জীবনসঙ্গী যে হতে চায়, তাকে সে হেলায় হারিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে মুখ ফেরায়নি তার দিক থেকে। বরং কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সবার সামনে তার ভালোবাসাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন। পরাগ এখন শিমুলকে চায়না, সে অন্য মেয়েতে মজেছে। শিমুলকে তাড়াতে পারলেই সে খুব খুশি হয়। আর তাই মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শিমুলকে জেলে পাঠায়। শিমুল যে নির্দোষ তা শিমুলের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানে।
আর তাই তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কোর্টে উপস্থিত হয়েছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শিমুল যে নির্দোষ তার পক্ষে রিপোর্ট পেশ করেছেন শিমুলের উকিল। যেখানে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, আসল দোষী পরাগ। এমনকি পরাগের স্কুলের হেডমাস্টারও তার বিপক্ষে গিয়ে আসল সত্যিটা সবার সামনে প্রকাশ করেন। শিমুলও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুখ খোলেন, পরাগ তার উপর কি কি অত্যাচার করেছে।
আরও পড়ুনঃ আর পাবেনা পার, মেঘকে মারতে গিয়ে জেলে ময়ূরী! ফাঁস দর্শকদের বহু প্রতীক্ষিত পর্ব
তারপরও সে তাদের বাড়িতে থেকেছে। পরাগের উকিল অনির্বাণ শিমুলকে বলে, শতদ্রু মিত্র আপনার কে হয়? সে আপনার পাশে ছিলনা? শিমুল জানায়, একজন বন্ধু যেভাবে আর এক বন্ধুর পাশে থাকে, শতদ্রুও সেভাবেই পাশে থেকেছে। এরপরে দেখা যায় শতদ্রুকে কাঠগড়ায় ডাকা হয়। শতদ্রু কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সব সত্যিটা স্পষ্ট করে দেয়।
তাদের সম্পর্ক নিয়ে যে নোংরামি গুলো করা হয়েছে, সবটা স্পষ্ট করে। ‘আমি শিমুলের বন্ধু ছিলাম সারাজীবন বন্ধু থাকব। তাই একটা কথা বলতে বাঁধা নেই, আমি শিমুলকে ভালোবাসি’। এই কথা শুনে শিমুল খুব খুশি হয়। অনেক প্রশ্ন উত্তর পেরিয়ে অবশেষে শিমুল কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আর প্রতীক্ষার সাজা হয়েছে।