জি বাংলার (Zee Bangla) যে ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয় সেটি হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’(Kar Kache Koi Moner Katha)। ধারাবাহিকে এখন দেখা যাচ্ছে, একজনকে বাঁচাতে গিয়ে আর একজন পড়ল বিপদে। শিমুলকে বাঁচাতে গিয়ে শতদ্রুকেই ঢুকতে হল জেলে। প্রকাশ্যে এল ধারাবাহিকের আগাম পর্ব। ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা জানেনই, শিমুল যতই শতদ্রুকে দূরে সরাক না কেন, শতদ্রু কিছুতেই শিমুলের হাত ছাড়তে চায়না।
বিনা দোষে শিমুল আজ জেলে। একজন প্রকৃত বন্ধুর তো এটাই কাম্য অন্যজন বিপদে পড়লে, তাকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা। আর তাই তো সে উকিলকে ডাকে, যাতে তিনি শিমুলকে এখান থেকে উদ্ধার করে। শিমুলের সব কথা শোনে, শতদ্রু বুঝতে পারে শিমুলের লড়াই করার ইচ্ছা টাই চলে গেছে। কিন্তু তাই বলে শতদ্রু হেরে যাওয়ার পাত্র নয়।
সে সবসময় পাশে থাকবে শিমুলের এটাই অঙ্গীকার করে। কিন্তু তার যে রূপরেখার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে শতদ্রুর মা। শতদ্রু সকলের সামনে জানিয়েছে সেসে রূপরেখাকে বিয়ে করবে না। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি। শতদ্রুকে যেতে হচ্ছে জেলে। রূপরেখা পুলিশ নিয়ে শতদ্রুর বাড়িতে যায়। রূপরেখা বলে, ও যেটা করেছে তার দাম ওকে দিতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ শিমুলকে বিপদে রেখে বিয়ে করতে পারবেনা, বিয়ে ভেঙে পাশে দাঁড়াল শতদ্রু
এরপরে সে পুলিশকে বলে, এই ছেলেটা শতদ্রু, এ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ের দিন ডেকে এনে বিয়েটা ক্যানসেল করে। আমার এত অপমানের দাম ওকে দিতে হবে। পুলিশ শতদ্রুকে থানায় নিয়ে যেতে চায়। শতদ্রু কারণ জানতে চায়। এর পাশাপাশি সে বলে, আমার ওর সাথে কোনো প্রেম ছিল না। ওকে বিয়ে করব বলেছিলাম কিন্তু পিছিয়ে এসেছি।
আমি তো বিয়ে করার পর ক্যানসেল করে দিইনি। আশীর্বাদের আগে ক্যানসেল করেছি। আমি ওদের ডাকিনি বাড়ির লোক ঠিক করেছে। পুলিশ তাও শতদ্রুর কথা শোনেনা। রূপরেখা আরও বলে শতদ্রুর চরিত্র খারাপ বিবাহিত মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়ায়। পুলিশ শতদ্রুকে ধরে নিয়ে যায়। এবার শতদ্রুর পাশে কে দাঁড়াবে সেটাই দেখার।