Kar Kache Koi Moner Katha : দর্শকরা যখন জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’র নতুন প্রোমো ভিডিও দেখেছিলেন, তখন থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, এই ধারাবাহিকের গল্প গতানুগতিক গল্প নয়। একেবারে অন্যধারার গল্প। কিন্তু যখন ধারাবাহিক শুরু হয় তখন দর্শকের আরেক রকমের ধারণা তৈরী হয় এই সিরিয়াল নিয়ে। শিমুল এবং মধুবালার সম্পর্ক ধীরে ধীরে হয়ে উঠছিল দৃষ্টিকটু। যেখান থেকে মানুষ ভয় পাচ্ছে বিয়ে করার।
তবে বর্তমানে সেই সব দর্শকরাই আজ বাহবা দিচ্ছেন ধারাবাহিকের গল্পের। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, শিমুল তার স্বামীর কাছের হয়ে উঠতে পারেননি, কিন্তু তার শাশুড়ির কাছের হয়ে উঠেছে। এখন শিমুল যেমন শাশুড়ির যুক্তিগ্রাহ্য কথা শোনেন, মধুবালা দেবীও বৌমার কথা শোনেন। দুজনে মিলে সব কাজ এখন একসঙ্গে করেন। একে অপরের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।
আর তাই তো দর্শকরা এত প্রশংসা করছেন। আবারও দর্শকরা তাদের ক্রিয়াকলাপ দেখে প্রশংসা করলেন। এদিনের পর্বে দেখা যায়, শিমুল তার শাশুড়িকে বলছে মাকে বরণ করার জন্য। কিন্তু মধুবালা দেবী রাজি হননা কারণ তিনি তো বিধবা। আমরা সব সময় জেনে এসেছি সধবারাই একমাত্র বরণ বা শুভ কাজে হাত দিতে পারেন, বিধবারা পারেননা। আর সেই ধ্যানধারণাকেই বদলে দিল শিমুল।
মধুবালা দেবী ভাবেন লোকে কি বলবে, একজন বিধবা হবে ওই ধরনের কাজে হাত দেবেন? তখন শিমুল জানায়, যে লোক তোমার দুঃখের কথা ভাবেনা, দুঃখের ভাগ নেয়না, তুমি তাদের কথা ভাবছ? তোমার যদি মনে হয় এটা করলে আনন্দ পাব, তুমি সেটাই করো। এই কথা শোনার পর মধুবালা দেবী রাজি হন। মধুবালাকে দেখে বিপাশার শাশুড়িও সাহস পায়।
বরণ করতে গেলে ছেলে পরাগ ও পলাশ বিরোধিতা করেন। আর শাশুড়ির পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় শিমুল। শিমুল দুর্গার হাত থেকে ত্রিশুল খুলে নিয়ে এসে রুদ্র রূপ ধারণ করে। এরপর পাড়ার লোকের উৎসাহে তিনি বরণ করেন। কুসংস্কারকে ত্যাগ করে মধুবালা দেবীর এই সাহসিকতা দেখে সকলেই বাহবা দিচ্ছেন।