কে কার সত্যি সত্যিই ভালো চায়, সেটা তাদের ব্যবহার দেখলেই বোঝা যায়। কেউ নিজের স্বার্থের কথা ভেবে কাজ করে, আবার কেউ কেউ স্বার্থের কথা না ভেবে নিজের সব স্বার্থ ত্যাগ করে স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। আর তেমনই একজন মানুষ হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Katha)র শিমুল।
শিমুল তার শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু পায়নি। না পেয়েছে ভালোবাসা না পেয়েছে আদর, না পেয়েছে স্বামী সুখ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে প্রাণভরে ওই বাড়িতে শুধু দিয়েই এসেছে। আর তাই আরও একবার শিমুল বুঝিয়ে দিল যে সে শুধু দিতেই এসেছে নিতে নয়। এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরও তার মন-প্রাণ সবকিছু রয়েছে পুতুলের কাছে।
সবকিছু ঝামেলা মিটিয়ে শিমুল ফিরেছে বাড়ি। শাস্তি পেয়েছে প্রতীক্ষা। মধুবালা দেবীও বুঝতে পেরেছে কে আসল দোষী। আর তাই সবকিছু বিবাদ ভুলে আবার সে শিমুলের কাছে এসেছে। শিমুলকে বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করে। মধুবালা দেবীর পাল্টি খাওয়া ব্যবহার দেখে সবাই ক্রুদ্ধ । কিন্তু শিমুল নয়। সে পুতুলকে দেখতে মধুবালা দেবীর বাড়ি যায়।
আরও পড়ুনঃ মোড় ঘুরবে গল্পের, নতুন ভাবে বিয়ের পিঁড়িতে সূর্য-দীপা! ফাঁস ধামাকা প্রোমো
এরপর মধুবালা শিমুলকে পুতুলের বিয়ের কথা বলে। শিমুলকে থাকতে বলে, বাড়িতে অনেক কাজ রয়েছে। পুতুলের বিয়েতে কি হবে না হবে সবটাই দেখতে হবে, আর তার জন্য শিমুলকে এই সব কাজে নিযুক্ত থাকতে হবে। শিমুল শুধু শুনে যায়, কোনো উত্তর দেয়না। কারো কোনো কথা না শুনে পুতুলের সাথে শিমুল উপরে যায়, তার মায়ের দেওয়া শাড়ি গুলো আনতে।
পুতুলের বারবার মনে হচ্ছিল শিমুলকে থাকতে বলি, কিন্তু সেই সাহস আর হয়নি। শিমুল শাড়ি নিয়েছে বটে, কিন্তু গয়না নেয়নি। তখন মধুবালা বলেন গয়না নিয়ে যেতে। কিন্তু শিমুল তা নেয়নি, ওই গয়না পুতুলের জন্য রেখে যায়। শিমুলের এই মনোভাব দেখে অবাক হয়ে যায় মধুবালা। সত্যিই সে ভুল করেছে।