দাদার পর ভাইয়ের শিক্ষার পালা, শিমুলের পদক্ষেপে পরাগ-পলাশের অবস্থা দেখে খুশি দর্শক!

জি বাংলার (Zee Bangla) চর্চিত ও জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। এই ধারাবাহিকে শিমুলের শাশুড়বাড়িকে অত্যাচারী দেখানো হয়েছে।

Nandini

kar kache koi moner katha shimul threataned parag and palash

জি বাংলার (Zee Bangla) চর্চিত ও জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। এই ধারাবাহিকে শিমুলের শাশুড়বাড়িকে অত্যাচারী দেখানো হয়েছে। কথায় কথায় তারা শিমুলকে অপমান করে আর পরাগ নিজের পুরুষত্ত্ব আর জোর খাটাতে পারলেই খুশি। শিমুলের মনের খবর জানার তার কোনো ইচ্ছে বা প্রয়োজন নেই একথা সে প্রথম থেকেই শিমুলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু শিমুল সবটা মুখ বুঝে সহ্য করেনি। সে বুঝেছে মুখ বুঝে সে সব সহ্য করলে তাকে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে হবে। তার বাপের বাড়ির লোকেরা তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছে। যেন ঘাড় থেকে বোঝা নামিয়েছে। শিমুল বাপের বাড়িতে পা রাখলেই তাদের প্রশ্নবাণ আর তিরস্কার ধেয়ে এসেছে তার কাছে।

kar kache koi moner katha serial shimul going to parag school for complain

তাই শিমুল পন করেছে, যাই হয়ে যাকনা কেন সে কিছুতেই বাপের বাড়ি যাবেনা। আর শ্বশুরবাড়িতে তার উপর হওয়া অত্যাচারের মাত্রা সে বাড়তে দেবেনা। তাদের থামাবেই। সম্প্রতি, শিমুলের শাশুড়ি মুখ ফুটে ঘুরতে যেতে চাওয়ায় যখন ওনার ছেলেরা মুখের উপর না করে দিল, তখন শিমুল নিজে সেই টাকা জোগাড় করার দায়িত্ব নেয়। তবে সেখানেও তার অপমানই জোটে।

বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে গয়না বন্ধক দিয়ে শাশুড়ির জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সকলের সামনে দুশ্চরিত্রের অপবাদ মেলে শিমুলের কপালে। শিমুলের প্রাক্তনের কথা তুলে পলাশ তাকে দুশ্চরিত্র বদনাম দেয়। আর মাত্রা ছাড়ায় পরাগ। হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সে শিমুলের গায়ে হাত তোলে।

আরও পড়ুনঃ ‘জানোয়ার’ একটা, পরাগ গায়ে হাত তুলতেই চরম পদক্ষেপ ‘শিমুলে’র! ফাঁস ধুন্ধুমার পর্ব

kar kache koi moner katha shimul threataned palash

 

শিমুলের গায়ে হাত তুলতে শিমুল আর সহ্য করতে পারেনা সে সোজা চলে যায় পরাগের স্কুলে। আর সেখানে পরাগের স্কুলের হেডমাস্টারমশাইকে সবটা খুলে বলে। তিনি সব শুনে ভীষণ ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। আর পরাগকে শিমুলের সামনেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এইরকম ঘটনার কোনোরূপ পুনরাবৃত্তি হলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এতে বেশ ভয় পেয়েছে পরাগ। পাশাপাশি এই খবরে ভয় পেয়ে যায় পলাশও। তাকে পরাগ সমঝে চলতে বলে শিমুল যদি তার অফিসে গিয়েও নালিশ জানায় সেই ভয় পায় পরাগ আর পলাশ দুইজনেই।

Related Post