মেরুদন্ডহীন নয়! ‘এত বড় অপমান করতে পারবোনা শিমুলকে’, মা-ভাইকে যোগ্য জবাব দিল পরাগ

জি বাংলায় (Zee Bangla) সম্প্রতি শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই  ধারাবাহিক শুরু থেকে নেটপাড়ায় বেশ চর্চায়

Nandini

kar kache koi moner kotha serial parag stand for shimul against his mother

জি বাংলায় (Zee Bangla) সম্প্রতি শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই  ধারাবাহিক শুরু থেকে নেটপাড়ায় বেশ চর্চায় আছে। শিমুল আর তার শাশুড়ির নিত্যদিনের সংগ্রাম। একজন অতীতে কিছু পায়নি বলে আরেকজনকে তা বর্তমানে করতে দিতে চায়না। শিমুলের শাশুড়ি তার অতীতে শ্বশুরবাড়িতে বেশ অত্যাচারিত হয়েছেন।

তাই তিনি নিজের মনের সেই পুষে রাখা রাগ শিমুলের উপর দিয়ে মেটাচ্ছেন। শিমুল তার শাশুড়িকে বোঝার চেষ্টা করছে তবে তার শাশুড়ি সহজে গলে যাবার পাত্রী নয়। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে রবীন্দ্রানুষ্ঠান চলছে। বেশ সুন্দর উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে এই অনুষ্ঠানের পর্ব তৈরী করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে শিমুলের শ্বশুরবাড়ির পাড়ার কিছু মেয়ে বউরা মিলে।

kar kache koi moner kotha serial parag say he can't hit shimul

কিন্তু শিমুলের শাশুড়ি কিছুতেই শিমুলকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায়নি। তার পরেও যখন শিমুল নিজের কথা রাখতে পাড়ার অনুষ্ঠানে যোগদান করে আবার শুরু হয় তার জীবনে নতুন অশান্তি। যতক্ষণ শিমুলের মুখ দেখা যায়নি ততক্ষন মঞ্চের অপরিচিত মেয়েটি বেশ ভালো নাচ করছিল শিমুলের শাশুড়ির কথা অনুযায়ী। কিন্তু যখনই শিমুলের শাশুড়ি শিমুলকে সেখানে দেখলেন সকলের সামনেই বউকে চড় মেরে বসলেন।

এইখানেই শুধু তারা ক্ষান্ত হয়নি, শিমুলকে পরাগ বাড়ি থেকে সোজা বেরিয়ে যেতে বলে। তবে শিমুলও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সে আর সহ্য করতে পারবেনা। এবার সে চলেই যাবে। পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবে শিমুল। শিমুলকে তাড়ানো হচ্ছে তাই শাশুড়ি যথারীতি আবারও রান্নাঘরে ঢুকেছেন। কিন্তু শিমুলের মুণ্ডপাত না করলে তার কি আর চলে। তখন পরাগ এসে মাকে সাহায্য করার বললে তাকেও বেশ কথা শুনিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ শিমুলের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সামনে গিরগিটিও ফেল! ‘কার কাছে কই মনের কথা’ দেখে বলছেন দর্শক

kar kache koi moner kotha serial parag told palash not crossing limit

অন্যদিকে, পলাশ তাদের কথার মাঝেই বলে ওঠে নিজের দাদাকে, ‘তোর যত হম্বিতম্বি সব আমাদের সামনে, রাতে বউয়ের কাছে গিয়ে সব শান্ত হয়ে যায়। আমার বউ এরকম হলে ধরে চাপকাতাম।’ একথা শুনে ছোট বইয়ের এমন কথার তীব্র প্রতিবাদ করে ওঠে পরাগ। সে জানায়, “শিমুল আমার স্ত্রী ওর গায়ে আমি হাত তুলতে পারবো না আমার রুচি এমন নয়। আর আমি একজন শিক্ষক বাচ্চাদের শিক্ষা দিয়ে থাকি, এমন কুশিক্ষা আমার নেই। এসব বলার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে কথা বলিস।”

× close ad