মেয়েরা যে সবসময় অবলা থাকবে তা তো হয় না। বর্তমানে যুগ বদলেছে, তার সাথে সাথে বদলেছে মহিলাদের ব্যক্তিত্ব। একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের উপর নানারকম অত্যাচার হলেও তারা মুখ বুজে সহ্য করত। কিন্তু এখন তা আর হয়না, এখন মেয়েরাও প্রতিবাদী হচ্ছে। আর সেই প্রতিবাদী নারীত্ব ফুটে উঠেছে যে ধারাবাহিকে তা হল ‘কার কাছে মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিক অজস্র বাস্তব শিমুলের মনের কথা জানাচ্ছে পর্দায়।
এই ধারাবাহিকে দেখা গেছে শিমুলের প্রতিবাদী সত্তা। শিমুলের সাথে পরাগের বিয়ে হওয়ার পর থেকেই শিমুলকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক অত্যাচার। সহ্য করলেও সে হয়ে উঠেছে প্রতিবাদী। প্রথম থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলেছে। তাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে শিমুলকে। কখনো দেখা গেছে রাতে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়েছে।

তো আবার কখনো দরজা বন্ধ করে বন্দি করে দিয়েছে আবার কখনো বাপের বাড়িতে দিয়ে এসেছে। এইসব কিছু পার করে এখন যেন কিছুটা নরম হয়েছে তার শাশুড়ি। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেশী বন্ধু এবং ননদদের সাথে সমুদ্র ভ্রমণ করে বাড়ি ফিরেছে শিমুল। সেখানে গিয়েও রক্ষে নেই। সেখানেও তাদের সামনে ধেয়ে এসেছে একের পর এক বিপদ। আবার বাড়ি ফিরেও শেষ নেই ঝামেলার। পরাগ শিমুলকে বলে , ফূর্তি করতে ব্যস্ত আমি যে এতবার ফোন করলাম ফোন ধরার নাম নেই।
কেন সে ফোন ধরেনি? তার উত্তর দেয় বিপাশা। টুইংকেলের অসুস্থতার জন্য শিমুল সাথে করে ফোন নিয়ে যেতে ভুলে যায়। তাই সে ফোন ধরতে পারেনি। আর যখন তার কাছে ফোন ছিল তখন সে বাড়িতে ফোন করেছিল কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি। সব বুঝিয়ে বলার পরেও পরাগ বোঝেনা। শিমুল রেগে গিয়ে বলে যার মন নেই সে কি করে বুঝবে।
আরও পড়ুনঃ চরিত্রহীনার পর এবার ‘খুনি’র তকমা শিমুলকে, ‘কার কাছে কই মনের কথা’ দেখে বেজায় ক্ষিপ্ত দর্শক

শিমুলের এই কথায় খুব রেগে যায় শিমুলের শাশুড়ি। শিমুলকে আবারও কথা শোনায়। চুপ করে থাকেনা শিমুল। সেও জানায়, পরাগ প্রতিদিন রাতে যেভাবে আমার উপর অত্যাচার করে সেই অত্যাচারের অভিযোগ তো আমি কারো কাছে জানায় না। এই কথা শোনার পর পরাগের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয় বিপাশাদের মনে। পরাগও অপমানে মাথা নীচু করে নেয়।








