টিআরপির দৌড়ে সেভাবে এগিয়ে না থাকলেও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। মানালি দে অভিনীত জি বাংলার (Zee Bangla) বর্তমান জনপ্রিয় ধারাবাহিক। প্রোমো প্রকাশের পর থেকেই সিরিয়ালটি হিট হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে গল্পের কাহিনী। সাংসারিক বচসা, কূটকচালির বাইরে গিয়ে এই ধারাবাহিকের মূল গল্প বন্ধুত্ব নিয়ে। সম্প্রতি, শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিমুল এখন বাপের বাড়ি।
আর সেখানে পৌঁছেই অতীতের মুখোমুখি শিমুল। বাপের বাড়ি গিয়েও তার শান্তি নেই, বিবাহিত বোনকে বোঝা মনে করে তার দাদারা। বোনের দায়িত্ব নিতে তারা পারবেনা। শিমুল মায়ের থেকে সময় নেয়, নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কোথায় পাবে চাকরি? শিমুল বাপের বাড়ি গিয়ে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যায়, আর সেখানেই উপস্থিত হয় শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রু।
শিমুল দেখে অবাক হয়ে যায়। শতদ্রু শিমুলকে জানায় দিল্লি থেকে কলকাতায় শিফট করেছে। শিমুলের বন্ধুদের থেকে সে শিমুলের সব খবর নেয়। শতদ্রু শিমুলকে বলে, ‘শুনলাম তুই নাকি কাজের খোঁজ করছিস, আমার অফিসে একটা ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করে দিতে পারি।’ এর উত্তরে শিমুল জানায়, ‘ওই চাকরিটা আমি করতে পারব না। লোকে আমার চরিত্রে কলঙ্ক দেবে’।
শতদ্রু জানায়, ‘আমি জানিনা আমার অপরাধটা কোথায়? তোকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে বলে কি খুব অপরাধ করে ফেলেছি।’ শিমুল উত্তর দেয়, ‘যেখানে আমার কাছে পাঁচ দিনও অপেক্ষা করার সময় ছিল না সেখানে তুই আমায় পাঁচ বছর দেখিয়েছিলি। আর এখন তোর অফিসে চাকরি দিয়ে বদনামের ভাগী করতে চাইছিস।
আরও পড়ুনঃ সহ্যের সীমা পার, এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা! ‘শিমুলে’র সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি দর্শক
না রে আমার সত্যিই এর কোনো প্রয়োজন নেই। যে যাকে সত্যি ভালোবাসে তার জন্য অপেক্ষা করে। প্রতিটি মুহুর্তে পাশে থাকে। তুই কি সেটা করেছিলি?’ অন্যদিকে দেখা যায় শিমুলের প্রতিবেশী বন্ধুরা শিমুলের খোঁজ করে, গিয়ে দেখে শিমুল নেই। তাই তারা পুলিশের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এই ভয়ে কি পরাগ শিমুলকে ফিরিয়ে আনবে? এর উত্তর মিলবে আগামী এপিসোডে।