বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) নবীনতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র শিমুল, প্রথম থেকেই শিমুলের শ্বশুর বাড়িটা আদৌ বাড়ি নাকি জেলখানা তা বোঝা মুশকিল। কথায় কথায় শিমুলকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো হয় সেখানে। কিন্তু বর্তমানে শিমুলের শাশুড়ি কিছুটা নরম হয়েছেন। যিনি শিমুল পাড়ার অনুষ্ঠানে নাচ করেছে বলে তাকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছিল। তিনিই আবার শিমুলকে ঘুরতে যেতে অনুমতি দিয়েছিলেন।
তবে সত্যিই কি শিমুলের শাশুড়ি বদলে গেছেন? কি মনে হয় আপনাদের? আসলে মানুষের বদল কি এত তাড়াতাড়ি সম্ভব। শিমুলের শাশুড়িও সেই ধারার বাইরে নন। শিমুলের প্রতি একটু নরম হলেও পুরোপুরি তিনি এখনও শিমুলের সাথে মানিয়ে নিতে পারেননি। শিমুলের প্রতি তার বিশ্বাস এখনও সম্পূর্ণ ভাবে পোক্ত হয়ে ওঠেনি।
বৌমার সাথে নিজের মেয়ে পুতুলকে পাঠিয়েছিলেন সমুদ্র সৈকতে। সাথে ছিলেন প্রতিবেশী বন্ধুরা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে, আনন্দ করে বাড়ি ফিরেছে শিমুল। কিন্তু বাড়ি এসেই শান্তি শেষ। বাড়ি ঢুকতে না ঢুকতেই শুরু হয়ে যায় শাশুড়ির কোলাহল। তার অপরাধ, সে এতটাই বন্ধুদের সাথে ফূর্তি করতে ব্যস্ত যে বাড়ির কারোর ফোন ধরতে পারেনি।
কেন ফোন ধরতে পারেনি? সবটাই বিস্তারিত জানায় শিমুল। এইসব কথা বার্তা হতে হতে হঠাৎ শিমুলের শাশুড়ির চোখ যায় পুতুলের হাতের দিকে। তার হাতের সারা জায়গায় কাটা দাগ। এরপর আবারও শিমুলের শাশুড়ি শিমুলকে দোষ দেয়। তার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল শিমুল। কিন্তু শিমুল ও পুতুল চুপ করে থাকেনি প্রতিবাদ করে।
আরও পড়ুনঃ পুতুলকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে চরম বিপদে শিমুলরা! ফাঁস ‘কার কাছে কই মনের কথা’ দুর্ধর্ষ চমক
তারপর পুতুল নিজেই সবটা তার মাকে খুলে বলে। শিমুলের দেওর পলাশ বলে, নিজের পথের কাঁটা সরাতে এই কাজ করেছে শিমুল। শিমুলকে খুনি বলে পলাশ এরপরই শিমুল প্রশ্ন তোলে পলাশ কি সত্যিই পুতুলকে নিজের দিদির মতো করে ভালোবাসে? এরপর পুতুলও জানায় পলাশ সত্যিই তাকে ভালোবাসেনা। তারপর পুতুল মাকে জানায়, আমি বউয়ের জন্যই বেঁচে ফিরলাম। তবে অশান্তি এখানেই শেষ নাকি নতুন শুরুর ইঙ্গিত তা সময়ের সাথেই জানা যাবে।