বিয়ের পর সব মেয়েদের বাড়ি হয় শ্বশুরবাড়ি। ওটাই তার আসল ঘর, ওটাই তার আসল ঠিকানা। কিন্তু সব মেয়ের কাহিনী একরকম হয়না। অনেকের জন্যই শ্বশুরবাড়ি হয়ে ওঠে জেলখানা সমান। সেখানে শুধুই রয়েছে অত্যাচার আর অপমান। এরকমই একটা প্লট নিয়ে জি বাংলা (Zee Bangla) দর্শকদের জন্য নিয়ে এসেছিল নতুন ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এখানে দেখা গেছে শিমুলের শাশুড়ি এতটাই দজ্জাল যে শিমুলকে উঠতে বসতে শাস্তি দেয়, কথা শোনায়।
তবে শিমুলের শাশুড়ির অতিরিক্ত খারাপ ব্যবহার ধারাবাহিক শুরুর প্রথম দিকে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে, শিমুলের শাশুড়ি কঠিন থেকে নরম হচ্ছেন। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে শিমুল বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে শিমুলকে আবার ফিরিয়ে আনে তার স্বামী এবং শাশুড়ি। বাড়ি ফিরেই শিমুল নিজের সব কাজ বুঝে নেয়।
পরাগের বিয়ের আগে পরাগের বাড়িতে কাজের লোক ছিল, কিন্তু নতুন বৌমা আসবে জানতে পেরে কাজের লোককে ছাড়িয়ে দেয়। সেটা শিমুল জানতে পারে। তাই সে শাশুড়ি মাকে স্পষ্ট বলে বাড়ির সমস্ত কাজ সে করতে পারবেনা। বাড়ির বউকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করানো ক্রাইম। একটা কাজের লোক তার দরকার।
শিমুলের প্রতিবেশী বন্ধুরা জানায়, তারা সকলে মিলে ঘুরতে যাবে। তাদের সাথে শিমুলও যাবে। এই কথায় কেউই রাজি হয়না। সুচরিতা বিপাশা এবং শীর্ষা সকলে পরাগ এবং তার মাকে বোঝায়। শেষমেশ শিমুলের শাশুড়ি একটা শর্ত দেয়, যদি তাদের সাথে পুতুলকে নিয়ে যায় তবেই সে যেতে দেবে। শিমুল জানায়, এটা না বললেও পুতুল দিকে নিয়ে যেত।
আরও পড়ুনঃ ‘টিআরপি নিয়ে মাথাব্যথা নেই’! ‘কার কাছে কই মনের কথা’ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী মানালি
অন্যদিকে এসব কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলনা পলাশ। শিমুলকে অনেক কথা শোনায়। সে বলে এরকমটা হতে থাকলে প্রতীক্ষার উপর কুপ্রভাব পড়বে! পরাগের মা রেগে গিয়ে পলাশকে জানায়, ‘যদি ইচ্ছা না করে বাড়িতে থেকোনা। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে এই বাড়ির হাঁড়ি আলাদা হতে দেব না। যদি চলে যেতে চাও চলে যাও’। এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় পলাশ।