Ke Prothom Kachhe Esechhi : জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ সিরিয়ালটি ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে দর্শক মনে। এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দর্শক অভিনেত্রী মোহনাকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন। মধুবনী চরিত্রটি দর্শকের কাছে বেশ পছন্দের একটি চরিত্র হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ছোট্ট মিহি, সিরিয়ালে তার উপস্থিতি মন ভালো করে দেয় নিয়মিত দর্শকদের। ঋক আর মধুবনীর জুটি জমে উঠেছে পর্দায়।
সব মিলিয়ে এই ধারাবাহিক বেশ পোক্ত জায়গা তৈরী করে নিচ্ছে দর্শকের মনে। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে এক নতুন মোড় এসেছে। ঋক আর মধুবনী সাত পাকে বাঁধা পড়েছে। যদিও মধুবনীর একটা বাচ্চা আছে সেকথা বিয়ের আসরে প্রকাশ পায়। যার ফলে ঋকের পরিবার এই কথাটা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনা। তাদের ধারণা হয় মধুবনী ঠগ।
কিন্তু ঋক মধুবনীর হাত ছাড়েনি। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিয়েও করেছে, আর মধুবনীর জায়গা তার বাড়িতে না হওয়ায় নিজেও বাড়ি ছেড়েছে। মধুবনীর বাড়িতেই এখন ঋক, মিহি আর মধুবনীর ছোট্ট সংসার গড়ে উঠেছে। মিহি তার পাপাকে পেয়ে বেশ খুশি। কিন্তু মধুবনীর একটা সিদ্ধান্তে ঋক বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দারুণ খবর! হিন্দি চ্যানেলে সুযোগ পেলেন ‘জগদ্ধাত্রী’ অভিনেত্রী, দেখা যাবে এই সিরিয়ালে
মধুবনী ঋককে না জানিয়েই তার বাড়িতে কথা বলতে গিয়েছিল। আর সেটা জানতে পেরে ঋকের খুব খারাপ লাগে। তবে মধুবনীকে একা ওই বাড়িতে ডাকাটাও কমলিনীর চাল ছিল। যদিও সে নিজের চালে সফল হতে পারেনি। উল্টে মধুবনীকে ফাঁসাতে গিয়ে তাকে সকলের কাজে নিজেকে যোগ্য প্রমান করার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। মধুবনীর উপস্থিত বুদ্ধি পুর্ণেন্দুর প্রাণ বাঁচিয়ে নেয়।
এতে ঋকের ঠাম্মি সুরমা একটু নরম হন মধুবনীর প্রতি। তবে ঋক সবটা জেনে দাদুর সাথে দেখা করতে গেলে তাকে ওই বাড়িতে আটকে নেয় ঠাম্মি। আর এদিকে মধুবনী ঋকের জন্য কেবল অপেক্ষা করতে থাকে। সুরমাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ঋক আর যেন মধুবনীর কাছে না যায়। তপবে কি ঋক সত্যি আর মধুবনী আর মিহির কাছে ফিরে যাবেনা? তা সময়ের সাথেই জানা যাবে।