Ke Prothom Kachhe Esechhi : সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটে যাওয়া এক নারকীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। যার জের ধারাবাহিক গুলিতেও ফুটে উঠেছে। কিছুদিন আগেই জি বাংলা(Zee Bangla)র ‘নিম ফুলের মধু’তে বর্ষার অসম্মান হওয়ায় পর্ণা কিভাবে দোষীকে শাস্তি দিয়েছিল তা দেখেছেন দর্শক। আবারও একই রকম চিত্র দেখা গেল জি বাংলার অপর এক সিরিয়াল ‘কে প্রথম কাছে এসেছি'(Ke Prothom Kachhe Esechhi)তে।
মধুবনীর পাড়ায় এক প্রোমোটারের ভাড়াটে কিছু গুন্ডা আছে। যাদের অত্যাচারে অতিষ্ট গোটা পাড়া। কিন্তু ভয়ে তারা মুখ খুলতে বা প্রতিবাদ করতে পারেনা। মধুবনী তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা সেই পাড়ার এক মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। কিন্তু মধুবনী যখনই এই খবর জানতে পারে তখনই সে ছুতে আসে সেই মেয়েটির কাছে।
আর সকলের কটাক্ষ আর নানান তেতো কথা সহ্য করেও অন্যায়ের প্রতিবাদে অনড় থাকে সে। আর পাড়ার সকল মহিলাদের বোঝায় চুপ থাকার সময় এটা নয়। প্রতিবাদ করতেই হবে নিজেদের অধিকারের জন্যে। নিজেদের সন্মান নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। প্রতিটা মহিলা হাতে অস্ত্র তুলে নেন। কাটারি হাতে তুলে নেয় মধুবনী।
আরও পড়ুনঃ সব বাঁধা পেরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে অংশু-পারমিতা, বিরাট দ্বায়িত্ব পেল ‘ফুলকি’!
আর মিহিকে সাথে নিয়ে, পাড়ার সকল মেয়ে বউদের সাথে নিয়ে সেই গুন্ডাদের শাস্তি দিতে ছুটে যায়। তাদের রাস্তায় ফেলে পেটায়। আর সেই মেয়েটির পা ধরে ক্ষমাও চাওয়ায়। তারপর পুলিশের কাছে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি রাখে জোর গলায়। এই প্রতিবাদ বর্তমান বাস্তব পরিস্থিতির একটি ঝলক বলেই মনে করছেন দর্শক।
ছোট্ট মিহিও মায়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই প্রতিবাদে সামিল হয়। আর মায়ের এমন রূপের প্রশংসা করতে থাকে। মিহির কাছে তার মা উদাহরণ। সে সকলকে জানায় সে মায়ের কাছ থেকেই লড়াই শিখবে। ঠাম্মি শঙ্খ বাজিয়ে মধুবনীকে ঘরে বরণ করে নেন। আর এই প্রতিবাদে তাদের সমর্থন করছেন বলেও জানান।