Ke Prothom Kachhe Esechhi : জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ ছোট্ট মিহির কারণে দর্শক মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ঋক আর মধুবনী বাড়ির শত বাঁধা পেরিয়ে তারা তাদের সংসার শুরু করতে সক্ষম হয়েছে। তবে মধুবনীকে ওই বাড়ির অনেকেই পছন্দ করেনা। শুধু তাই নয় ছোট্ট মিহির প্রতিও তাদের ভীষণ রাগ। মধুবনী প্রথম দিন থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তার মানিয়ে নেওয়া সহজ হবেনা তা বুঝেছে।
এদিকে ঋক আর মধুবনীকে একসাথে রাখতে ঋকের ঠাম্মি বারবার মিহিকে তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। মিহি মাম্মাকে বা পাপাকে ছেড়ে থাকতে রাজি কিন্তু রুমি মিহির সাথে মোটেও ভালো আচরণ করেনা। সেটা মিহি তার মাম্মাকে জানিয়েও দিয়েছে। মিহিকে সহ্য করতে না পারার দরুন রুমি তাকে নানান ভাবে শায়েস্তা করতে থাকে।
কখনও তাকে খাবারের সাথে লঙ্কা খাইয়ে দেয় জোর করে তো কখনও আবার তাকে ভূতের ভয় দেখায়। তবে ঋক ফুলশয্যার রাতে মধুবনী আর মিহিকে আলাদা থাকতে দেয়নি। মধুবনীর মনের অবস্থা বুঝে ঋক মিহিকে মধুবনীর কাছে এনে দেয়। আর তারা একসাথে ঘুমিয়ে পরে। যদিও এই বিষয় নিয়ে ঠাম্মি একেবারে রনং দেহি মূর্তি ধরেন। তিনি জোর করে মধুবনীর থেকে মিহিকে আলাদা রাখতে চান।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের পরেও পাবে না স্ত্রীর অধিকার, ফুলশয্যার রাতেই এল চুক্তিপত্র! রইল ‘পুবের ময়না’র আগাম পর্ব
এদিকে, ঋক আর মধুবনীর বৌভাতের অনুষ্ঠানে মধুবনী মুখোমুখি হয় সৌভিকের। কিন্তু কে এই সৌভিক? তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ঋকের ভাইয়ের এক বান্ধবীর দাদা সৌভিক। গতবার তারা যখন ঋকের বাড়িতে আসে তখনই সেই মেয়েটি মধুবনীকে চিনতে পেরেছিল। আর মধুবনী সেই থেকেই নিজের অতীত সামনে আসার ভয়ে একপ্রকার কাঁটা হয়ে আছে।
অন্যদিকে, ঋকের মণিমা মধুবনীর এই হাবভাব আর ওই মেয়েটিকে দুইজনকেই দেখে ফেলেছে। সে এবার মধুবনীর অতীত খুঁড়ে বার করবে বলে প্ল্যান করেছে। সত্যিই কি মধুবনীর অতীত চিড় ধরাবে ঋক আর মধুবনীর সুখের সংসারে? কামালিনী সফল হয়ে যাবে তার চালে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী পর্বগুলিতেই।