Ke Prothom Kachhe Esechhi : জি বাংলার (Zee Bangla) এই মুহূর্তের অপর এক সেরা ধারাবাহিক হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’। ছোট্ট মিহির খুনসুটি, আধো আধো কথা আর ঋক-মধুবনীর রসায়ন সব মিলিয়ে বেশ জমে উঠেছে এই ধারাবাহিক। ঋক ইতিমধ্যেই মধুবনীকে তার মনের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সে এতদিন মধুবনীকে নিয়ে যে ভয়টা পাচ্ছিল সেটাই সত্যি হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে তাদের।
মধুবনী ঋকের আসল পরিচয় জানতে পেরে বেশ কষ্ট পেয়েছে। ঋকের কোনো কথা না শুনেই সে ঋককে তার আর মিহির থেকে দূরে থাকতে বলে দিয়েছে। যদিও ঋক আর মধুবনীর মাঝে এই ধরণের ভুল বোঝাবুঝিই সৃষ্টি করতে চেয়েছিল কমলিনী। আর সে নিজের প্ল্যানে খুব ভালো করেই সাফল্য অর্জন করেছে। ঋক তার মণিমার মুখোশটা চিনতে না পারলেও চিনতে অসুবিধা হয়নি কুশলের।
তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কুশল আর ঋক তাদের ভালোবাসার মানুষের মানভঞ্জনে মন দিয়েছে। স্নেহা তো রাগে-অপমানে আত্মহত্যা করে বসে। তবে তাকে ফিরিয়ে আনার পর থেকে সে এখনও কুশলের সাথে কথা বলতে নারাজ। এদিকে মধুবনীও কিছুতেই ঋকের কোনো কথা শুনতে চায়না। তবে ঋকের দাদু সবটা জেনে তিনি নিজে মধুবনীর ভুলটা ভাঙানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনঃ নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে বড় পদক্ষেপ নিল রাই, নীলুর কারসাজি ধরে ফেলল স্রোত!
ঋকের দাদুর কথায় মধুবনী একটু নরম হলেও সবটা মানতে তার সময় লাগবে। এদিকে মা আর ভালো লোক ঝগড়া করে মুখ গোমড়া করে থাকবে তা মোটেও পছন্দ নয় মিহির। মাকে কষ্টে দেখলে মিহিরও ভীষণ কষ্ট হয়। তাই সেই উদ্দ্যোগ নিয়েছে মা আর ভালো লোকের আবার মিল করিয়ে দেবে। ছোট্ট মিহির প্রয়াস দেখে মুখে হাসি ফুটেছে দর্শকদেরও।
সরল মিহি তার ভালো লোককে ফোনে জানিয়ে দেয় যে তার মা তাকে নিয়ে হিংসে করে। নিশার হাতে আংটিটা টেনে খুলে নিয়েছিল আর নিজের হাতে কিভাবে পরে নিয়েছিল সবটা সে তার ভালোলোককে জানায়। এদিকে মধুবনীর হাবভাব দেখে ঋক ঠিকই বুঝতে পারে মধুবনীর মনে ঠিক কি চলছে। তাই সে হাল ছাড়তে নারাজ। মধুবনীর ম্যান সে ভাঙ্গবেই।