জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari)। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে নিত্যনতুন চমক। সেই চমকে চমকিত হচ্ছেন দর্শকরা। ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী মিতুলের কাছে মানুষ হয় গুগলি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে গুগলি পৌঁছে যায় তার বাবার কাছে। গুগলি এখনও জানে না সেটা তার বাবা।
তার মিতুল মায়ের সাথে গুগলির বাবার বিয়ে হয়। মিতুলও জানে না, গুগলি ইন্দ্রর সন্তান। আর ইন্দ্রও জানে না গুগলি তারই সন্তান। এরই মাঝে দেখা গেছে , মিতুলের মা অর্থাৎ ইন্দ্রর স্ত্রী অন্তরা ফিরে এসেছে। যা দেখে সকলেই অবাক। সে এসেই সবকিছুর অধিকার চাইছে। মিতুলকে বেশ কয়েকবার অপদস্থ করার চেষ্টাও করেছে। কিন্তু এই অন্তরা আসল নাকি নকল তা বোঝা যায়নি।
সম্প্রতি, মোক্ষম চাল চেলেছে অন্তরা। গুগলিকে তার মিতুল মায়ের থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র করেছে। গুগলি যে সোহাগ সেটা সকলের সামনে প্রমান করেছে। র গুগলির সামনে মিতুলকে মিথ্যেবাদী পি[রোমান করতে চেয়েছে। ছোট্ট গুগলি এখন তার মিতুল মা কে ভুল বুঝেছে। অভিমান হয়েছে তার। তার ধারণা মিতুল তাকে মিথ্যে বলেছিলো যে তার বাবা নেই। মিতুলও তাতে কিছুটা আহত হয়েছে। মেয়ের কাছ থেকে আসা ব্যবহার মিতুলকে আঘাত দিয়েছে।
মিতুল বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। অন্যদিকে অনেক বড় সত্যি সামনে এসেছে যে অন্তরা সেজে যে এসেছে সে আসলে আসল অন্তরা নয়। সে অনামিকা নামের এক অন্য মেয়ে যার সঙ্গে অন্তরার মুখের সাদৃশ আছে। সে এসেছে রণ ও অনুরাধার প্ল্যান সফল করতে। তারা চায় মিতুলকে ইন্দ্রর জীবন থেকে সরিয়ে দিতে। আর তাই এই মোক্ষম অস্ত্র তারা কাজে লাগিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ খেলনা বাড়িতে নতুন চমক, সামনে এলো নকল অন্তরার আসল পরিচয়!
সম্প্রতি, ধারাবাহিকের আরেকটি প্রোমো সামনে এসেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে মিতুল তার লেডি সিংঘম অবতারে ফিরে এসেছে। মানে সেই ডানপিটে মিতুল। গুগলি আতঙ্কবাদীদের কাছে বন্দি হয়েছে। সাথে আরও অনেক শিশু। তাদের পণবন্দি করেছে আতঙ্কবাদীরা। তবে মিতুল তার মেয়ের কোনো ক্ষতি হতে দেবেনা। তাই পুলিশের বেড়া টপকে সে গেট বেয়ে যাচ্ছে গুগলিকে বাঁচাতে।
অন্যদিকে সেখানে ইন্দ্র ও নকল অন্তরাও উপস্থিত। ইন্দ্র মেয়েকে বাঁচাতে যেতে চাইলে তাকে অন্তরা আটকে দেয়। সে বলে আতঙ্কবাদীদের কাছে বন্দুক আছে তুমি পারবেনা। আর ওদিকে মিতুল গেট বেয়ে উঠতে উঠতে বলে ‘আমি থাকতে গুগলির কোনো ক্ষতি হবেনা ইন্দ্রবাবু’। এবার দেখার মিতুল কিভাবে তার মেয়েকে বাঁচাবে? সত্যিই কি পারবে নাকি নিজেই কোনো বিপদে পড়বে। তা তো সময়ের সাথেই মূল পর্বে বোঝা যাবে।