সকল দর্শকদের মনের ইচ্ছা পূরণ করেছেন মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিক নির্মাতা। তাই সবাই খুশি নির্মাতার প্রতি। কারণ তারা চেয়েছিল সিধাই এর কোলে সন্তান আসুক। এবং এটাও চেয়েছিলেন, মিঠাই এর মৃত্যু যেন না দেখানো হয়, ওদের কোলেই সন্তানকে দেখতে চায়। ঠিক তাই ই করল, ওদের কোলেই সন্তানের শৈশবের প্রাক মুহুর্ত দেখানো হয়েছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক প্রোমো একটু দুঃখ বিজড়িত প্রোমো। এই প্রোমো তে দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিকটি লিপ নেবে, মিঠাই এর মৃত্যু হবে। তাদের ছেলে শাক্য মোদক বড় হবে। কিন্তু সে এত দুষ্টু, তাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সকলে। বিশেষত সিদ্ধার্থ ছেলেকে সামলাতে যেন হাঁপিয়ে উঠছে। তাই তার জন্য একটা নতুন ম্যাম আসছে তাকে হুবহু মিঠাই এর মতো দেখতে। তাকে দেখে অবাক সকলেই।
আর এই শাক্য মোদকের চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন, তিনি হলেন, ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী (Dhritishman Chakraborty)। বয়স মাত্র ৫ বছর। এই খুদের আসল পরিচয় জানেন? মাত্র ৫ বছর বয়সেই ৫টি ভাষায় গান গেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে। আর এই খবর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে শেয়ার করেছিলেন। আর তাই তিনি এই খুদে কে ‘রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার’ (Rashtriya Bal Puraskar) দেওয়ার কথা বলেন।
তার যখন ১১ মাস বয়স , সেই সময় থেকেই তাঁর গলায় সুর। ভাবতে পারছেন কতটা মেধা। ৫ বছর বয়সে পাঁচটি ভাষায় (অহমিয়া, সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরাজি) সাবলীলভাবে গান গেয়েছেন, ২০২১-এ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ নাম তুলেছেন। ইয়ংগেস্ট মাল্টিলিঙ্গুয়াল সিঙ্গার নামে তাঁকে আখ্যায়িত করা হয়।
যে সময়ে কোনো বাচ্চা ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা, সেই সময়ে এই ছেলে ৭০টির বেশি গান রেকর্ড করেছেন । তবে শুধু গান নয়, তাঁর সুন্দর আচরণ সবাইকে মুগ্ধ করেছে। সকলেই তাঁকে বেশ পছন্দ করেন। ইউটিউবে তাঁর ফলোয়ার ৪ হাজার ২০০। আর ফেসবুকে ১৩ হাজার ১০০। তাহলে বুঝতেই পারছেন মিঠাই আর সিড এর মতো এই খুদেও বেশ জনপ্রিয়।
শিশুশিল্পী ধৃতিষ্মানের মা এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। ছোটবেলায় ধৃতিষ্মান বেশ দুস্টু ছিল তবে গানের প্রতি তার ভালোবাসা ছোট থেকেই। গান শুনলেই সে ভীষণ শান্ত হয়ে যেত। গানের প্রতি ছোট ধৃতিষ্মানের অমোঘ টান। প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকে সিদ্ধার্থ চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেতা আদৃত রায় (Adrit Roy) খুব ভালো গান করেন তা অভিনেতার অনুরাগীরা জানেন। এখন পর্দায় তার ছেলে হিসাবে জেক হাজির করা হচ্ছে সেও এক খুদে সংগীতশিল্পী। তাই মিঠাই অনুরাগীরা নির্মাতাদের উপর বেশ খুশি হয়ে বলেছেন তারা যোগ্য বাবার যোগ্য ছেলে খুঁজে এনেছেন।