‘দুর্গাদের পুড়িয়ে মারা যায়না’ নারীশিক্ষার জন্য কমলার সংগ্রামে মুগ্ধ দর্শকেরা

বর্তমান সময়ের আধুনিক জীবন নয় প্রাক্ স্বাধীনতা যুগের দুই কিশোর কিশোরীর প্রেমময় জীবন কাহিনী এবং সমসাময়িক সমাজ নিয়ে শুরু হয়েছিল স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয়

Saranna

komola o sreeman prithviraj serial komola fight for girl education

বর্তমান সময়ের আধুনিক জীবন নয় প্রাক্ স্বাধীনতা যুগের দুই কিশোর কিশোরীর প্রেমময় জীবন কাহিনী এবং সমসাময়িক সমাজ নিয়ে শুরু হয়েছিল স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ (Komola O Sreeman Prithviraj)। যা দর্শকদের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। নতুন ধারাবাহিক হয়েও খুব তাড়াতাড়ি সকলের কাছের হয়ে উঠেছে তারা। হবে নাই বা কেন, ধারাবাহিকের মূল ইউএসপি কমলা ও পৃথ্বীরাজের ভালোবাসা আর খুনসুটি এতটাই সুন্দর যে দর্শক মুগ্ধ হন বারংবার।

ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র কমলা (Komola) যে কিনা সেই সময়ের উচ্চবিত্ত এক পরিবারের মেয়ে, আর তার সাথে বিয়ে হয় দস্যি মানিকের। মানিকের বাড়িতে এখনও স্বাধীনতার আলো পৌঁছায়নি। মেয়েদের লেখা পড়া মানেই তাদের কাছে জঘন্য অপরাধ জনক কাজ। এদিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে কমলার বাড়ির লোকজন। তাই তো কমলা রূপে লক্ষী আর গুণে সরস্বতী। সে গান জানে আবার লেখাপড়াও জানে।

komola o sreeman prithviraj serial komola fight for save their school

তার গুন অনেক, মনের দিক থেকেও কমলা (Komola) হার মানাবে বড়োদের। তাই প্রথম প্রথম যখন মানিকের বাড়িতে বেশ অস্বস্তিতে পরতে হয় তাকে। লেখাপড়া করতে গিয়ে তাকে অনেক শাস্তি পেতে হয়। একজনকে বাঁচাতে গিয়ে শাস্তি স্বরূপ গোয়াল ঘরে পর্যন্ত থাকতে হয় তাকে। কিন্তু বর্তমানে সেই কমলা শ্বশুর বাড়ির সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছে। নিজের বুদ্ধি দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে।

যার জন্য সে নিজের উদ্যোগে মেয়েদের জন্য একটা স্কুল বানিয়েছে। কমলা (Komola) নিজেও পড়াশোনা করবে এবং অনান্য মেয়েদেরকেও পড়াশোনা করাবে। এই কাজে তাকে বরাবরের মত  সাহায্য করেছে পৃথ্বীরাজ। অন্যদিকে তার এই কাজ অনেকেরই অপছন্দ। ভট্টাচার্য মশাই কিছু বিধান দেয়। সেই বিধান না মানায় কমলার সাধের স্কুল ভেঙে দেয়।

আরও পড়ুনঃ যেকোনো চরিত্রেই অসাধারণ তিনি! ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’এ কৌশিক চক্রবর্তীর অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক

কমলার (Komola) সাধের স্কুল ভেঙে দেবে কমলা তো চুপ করে থাকবে না। কমলা খুবই শান্ত মেয়ে, মানিকের মত দস্যি নয় তবে প্রয়োজনে সে দস্যি হতে পারে। কমলা আর বাকি মেয়েরা একজোট হয়। একসাথে জোট হয়ে কমলা বলে, চাইলেই দূর্গাদের পুড়িয়ে ফেলা যায় না, মেয়েদের পিশে ফেলা যায়না। নিজের স্কুল বাঁচাতে কমলার এই রুদ্র মূর্তি বেশ প্রশংসা পেয়েছে দর্শকমহলে।

× close ad