জী বাংলায় (Zee Bangla) বর্তমানে বেশ চর্চিত ও সমালোচিত ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে দর্শক মহলে। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে পুরোনো ধ্যান-ধারণা পোষণ করা একটি পরিবার। যাদের অনেকেরই ভাবনা চিন্তা ঘরের চার দেওয়ালে মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তারা যেমন নিজেদের বদলানোর কথা কখনও ভাবেওনি তেমনই কাউকে সেই চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে ভাবতে দিতেও তারা নারাজ।
পর্ণা একজন শিক্ষিতা বর্তমান সমাজের চিন্তাধারা নিয়ে বেড়ে ওঠা একটি মেয়ে। যে খুব শখ করে একটা বড় পরিবারে অর্থাৎ একান্নবর্তী পরিবারে বিয়ে করেছে। কিন্তু পর্ণা বুঝতে পারেনি যে সে কোন পরিবারে কোন পরিবেশে এসে পড়তে চলেছে। প্রথম প্রথম পর্ণাকে অনেক কিছুই মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়েছে। ইচ্ছে থাকলেও সে মুখ খুলতে পারেনি।
তবে পর্ণার পাশে বর্তমানে তার স্বামী দাঁড়িয়েছে। যে সৃজন এতদিন মায়ের মুখের উপর একটাও কথা বলতে পারতো না। সে এখন মাঝে মাঝে অতিরিক্ত হয়ে গেলে কিছু কথা বলে তার মা কে। যার দোষ অবশ্য ঘুরে গিয়ে পর্ণার ঘাড়েই পরে। কৃষ্ণা অর্থাৎ সৃজনের মা পর্ণাকে বলেন সে নাকি ছেলেকে মায়ের থেকে আলাদা করে দিতে শুরু করেছে। তাই সৃজন মায়ের মুখের উপর কথা বলেছে।
আর সেই ধারণা থেকেই সম্প্রতি দেখা গেলো কৃষ্ণার ভাবনার প্রতিচ্ছবি। যা দেখে হেসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় দর্শকের। সৃজনের মা ছেলেকে পর্ণার হয়ে দুটো কথা বলতে দেখে ধারণা করছেন পর্ণা এবং তার ছেলে সৃজন দুইজনে মিলে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় পর্ণা সৃজন দুইজনেই আছে। পর্ণা আবার হাতে ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এই দৃশ্য সবটাই সৃজনের মায়ের কল্পনা। তবে এমন একটা সিন দেখে দর্শকের হাসি থামা দায়। পর্ণা একটু যত্ন নেওয়াতে, পর্ণাকে কাজে সাহায্য করতে চাওয়াতে। সৃজনের মায়ের অন্তর জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। এমন মা দেখে অনেকেই অনেক মন্তব্যও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মা হয়ে কিকরে বৌমার প্রতি এমন আচরণ করেন তিনি? তার থেকে তো ভালো তিনি ছেলেকে আইবুড়োই রেখে দিতেন সারাজীবন। ইত্যাদি অনেক সমালোচনা চলে এই ধারাবাহিকে কৃষ্ণা চরিত্রটিকে ঘিরে।