জি বাংলার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার’ (Lakkhi Kakima Superstar)। যার নামেতেই রয়েছে সুপারস্টার। সে তো সুপারস্টার গিরি করে দেখাবে। আর ধারাবাহিকের নামের সাথেই চরিত্রটি সুনিপুণ দক্ষতায় আঁকা হয়েছে। লক্ষী কাকিমার চরিত্রে অভিনয় করছেন সকলের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। অপরাজিতা আঢ্যই ধারাবাহিকের সব। এই মানুষটার জন্যই সকলে ধারাবাহিকটি দেখেন।
বাস্তবে অপরাজিতা যেমন স্পষ্ট ভাষী, দিলখোলা স্বভাবের, আর ‘লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার’-এও ধারাবাহিক নির্মাতা তেমনই দিলখোলা স্বভাবের রেখেছেন অভিনেত্রীকে। সার্থকতা পেয়েছে চরিত্র সৃষ্টিতে। বাস্তবে যেমন, ধারাবাহিকেও তেমন। এ হেন লক্ষী কাকিমাকে সকলেরই পছন্দ। বিশেষ করে একজন মধ্যবিত্ত সংসারের একজন গৃহবধূ। দুই ছেলে, বৌমা, শাশুড়ি দেওর, জা নিয়ে বসবাস করেন। একা হাতে সামলাচ্ছেন মুদির দোকান।
তার জীবনেও আসে নানান বিপদ। একা একজন মহিলা হয়ে সমস্ত শত্রুদের দমন করছে। অনান্য ধারাবাহিকে দেখা গেছে, ইয়োং জেনারেশন হয়েও, গুন্ডাদের সাথে লড়াই করতে পারে না, কিন্তু লক্ষী কাকিমা একজন সিনিয়র প্রজন্মের মানুষ হয়েও, পুরুষতন্ত্রের উপর নিজের শক্তি এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগাচ্ছেন। সম্প্রতি যে প্রোমো ভিডিও দেখা গেছে, তাতে তেমনই এক ঘটনা লক্ষ্য করা গেল।
যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন, লক্ষীর স্বামী দেবু দা কে কিডন্যাপ করেছে, গুন্ডারা। কারণ যে গুন্ডারা মেয়ে পাচার করবে বলে মেয়েদের কিডন্যাপ করছিল, সেই গুন্ডাদের দেবু দা দেখে ফেলেন। আর তাই দেবু দাকে কিডন্যাপ করে গুন্ডারা। কিন্তু তাই বলে ঘরে বসে থেকে পুলিশ-প্রশাসনের হাতে সব ছেড়ে দিয়ে বসে থাকার পাত্রী তিনি নন। তিনি একাই একশ।
তাই দেবু দাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন লক্ষী কাকিমা। গুন্ডা সমেত দেবু দাকে খুঁজে বার করেন। এতদিন ধারাবাহিকে দেখা গেছে, নায়ক রা পিস্তল ধরে নায়িকাকে বাঁচাচ্ছে। এবার দেখা মিলল, সাধারণ মধ্যবিত্ত সিনিয়র প্রজন্মের মানুষ লক্ষী কাকিমা গুন্ডার সামনে পিস্তল ধরে স্বামীকে বাঁচাচ্ছে। লক্ষী কাকিমার এ হেন আধুনিক দৃশ্য দেখে সবাই আপ্লুত। সবাই প্রশংসা করেছেন লক্ষী কাকিমার। একটা নারী সবকিছুই করতে পারে। ওই যে কথায় বলে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। ঠিক তাই।
তবে স্বামীকে উদ্ধার করার পরই গুন্ডাদের হাতে এবার পড়েছে লক্ষী কাকিমার মেয়ে। রিয়াকে গুন্ডারা কিডন্যাপ করেছে। তবে এবারে এই ধারাবাহিকে মহিলা শক্তির জোর দেখানো হয়েছে। ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে মেয়ের অপহরণের কেস নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ যখন গড়িমসি দেখাচ্ছিল তখন থানায় হাজির হন এক মহিলা ডি আই জি অফিসার। তিনি নিজে তৎপরতার সাথে দ্বায়িত্ব নিয়েছেন লক্ষী কাকিমার মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার।