ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়াতে ধারাবাহিকের কাহিনীতে এতটা চমক আনা হয় যে, নাটকের থেকে বেড়ে যায় অতিনাটকীয়তা। আর তার ফলে ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়ে কিঞ্চিৎ, কিন্তু ট্রোলের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। নেট নাগরিক দের ট্রোলের কারণে ধারাবাহিকটি আবার চলে আসে শিরোনামে। আবার সবাই নতুন করে ঔৎসুক্য হয়ে পড়ে, ধারাবাহিকটি দেখার জন্য। ফলে যতটা পড়ে গিয়েছিল টিআরপি, কিঞ্চিৎ বেড়ে যায় বটে।
সেরকমই একটি ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার’ (Lakkhi Kakima Superstar)। এই ধারাবাহিকটিতে আনা হয়েছে বড়সড় টুইস্ট। আমরা দেখেছি, কয়েকদিন আগেই শোনা যায়, লক্ষী কাকিমার বমি হচ্ছে, মাথা ঘোরাচ্ছে। ডাক্তার আসে, সে জানান, লক্ষী কাকিমার সুখবর আসতে চলেছে। যথারীতি দর্শকরাও বুঝে যান লক্ষী এবার আবার মা হতে চলেছে।
এই বলে সব জায়গায় খুশির জোয়ার। লক্ষীর প্রেগন্যান্সি রিপোর্ট আসে পজিটিভ। সাথে সাথে বেশ ট্রোল হতেও দেখা যায়। ঠাকুমা হওয়ার বয়সে মা হচ্ছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘উদ্ভট, হাস্যকর, অত্যন্ত নিম্নমানের ভাবনা,চিন্তা ও অভিনয়। সুস্থ সমাজ আর কবে দেখবো কে জানে’। কেউ লিখেছেন, ‘হিন্দু সমাজকে কলঙ্কিত করছে এইসব সিরিয়াল। লজ্জার মাথা খেয়েছে এই চরিত্র গুলো।
পরিচালকের এগুলো মাথায় আসে কি করে ,নির্লজ্জ না হলে এরকম সিরিয়াল করতে পারে না। বিনোদন মানে কি সমাজ সভ্যতাকে বাদ দিয়ে’। এসবের পর সম্প্রতি শোনা গেল নতুন খবর। রিপোর্ট আনতে যায়, তখন লক্ষী কাকিমা বলেন, কারোর রিপোর্টের সাথে আমার রিপোর্ট গন্ডগোল হয়ে যায়নি তো? আর এটাই এবার সত্যি হল। অন্যের রিপোর্টের সাথে তাদের রিপোর্ট সত্যিই গন্ডগোল হয়েছে।
এ হেন প্রোমো ভিডিও দেখে, সকলের মনে এটাই হচ্ছে, কেন এরকম বদল ঘটানো হল? নিশ্চয়ই নেটিজেনদের ট্রোলের কারণে। নেট নাগরিকরা পরিচালককে ছেড়ে কথা বলেননি । বেশিরভাগ মানুষই এই ঘটনাকে ভালো চোখে দেখেননি, তাই হয়ত বদল ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন পরিচালক।