পুজো শেষ, কিন্তু বৃষ্টি নয়। তেমনটাই পূর্বাভাস (Weather Update) দিল আবহাওয়া দপ্তর। পুজোর আগে বৃষ্টি হলেও পুজোর মধ্যে বৃষ্টি তেমন একটা ভোগায়নি বাংলাকে। তবে পূজার মধ্যে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। আসলে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্থিত নিম্নচাপ গুলি বাম দিকে বেঁকে উড়িষ্যা গামী হয়ে যাওয়ায় পুজোর মধ্যে তেমন একটা বৃষ্টির প্রকোপ দেখা যায়নি। তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস এখনই নয়। এখনই বৃষ্টি বাংলার পিছু ছাড়ছে না বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
বঙ্গে জোড়া নিন্মচাপ : Weather Update Double Low Pressure Zone
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী নয়ই ও দশই অক্টোবর নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে আবারো একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যেহেতু নিম্নচাপটি এখনো তৈরি হয়ে ওঠেনি তাই ওই নিম্নচাপের গতিপথ কোন দিকে হবে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলাই যায় উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ গুলি মূলত ওড়িশা পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশের দিকেই ধাবিত হয়। তাই কালীপুজোর সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, পরপর দুইটি নিম্নচাপ হয়ে যাওয়ায় এবং বাতাসের তাপমাত্রা খুব বেশি না থাকায় আগের দুইটি নিম্নচাপের তুলনায় এই নিম্নচাপের শক্তি কম থাকবে। তবে নিম্নচাপটির গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখা হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরো যোগ করেন নিম্নচাপের শক্তি কম হওয়ার ফলে দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। কিন্তু পাহাড়ে বেশ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই সেখানে ভূমিধ্বস ও ল্যান্ড স্লাইড এর মত ঘটনা ঘটতে পারে।
আরব সাগরে ফুঁসছে শক্তি
অন্যদিকে আরব সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। যার নাম দিয়েছে শ্রীলংকা শক্তি। ঘূর্ণিঝড়টি এখন করাচি থেকে দক্ষিনে এবং পৌর বন্দর থেকে পশ্চিমে সমুদ্রের মধ্যে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণি ঝড়ে পরিণত হবে। তবে সেটির গতি প্রকৃতি কোন দিকে বাক নেবে সে বিষয়ে সবিস্তারে এখনো জানানো হয়নি
গত ২৭শে সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ওড়িশা ও অন্ধ উপকূল দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করে, সেটি মধ্য ভারতের দিকে এগিয়ে যায়। যার ফলে আরব সাগরের উপর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে সেখানে একটি নিম্নচাপের তৈরি করেছে। নিম্নচাপটি ছত্রিশগড় হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে থাকায় দক্ষিণবঙ্গে এর প্রভাব তেমনভাবে আর পড়বে না। তবে মুর্শিদাবাদ জেলায় বেশ কিছু বৃষ্টিপাত দেখা গেছে। দক্ষিণবঙ্গের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই জেলায় লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দার্জিলিং কালিম্পং কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।








