যখন নতুন ধারাবাহিকের প্রোমো ভিডিও টিভির পর্দায় আসে, তখন আমরা দেখি, ধারাবাহিটা থেকে কিছু শেখা যাবে, শিক্ষণীয় জিনিস আছে। কিন্তু পরবর্তীতে উল্টো হয়ে যায়। ধারাবাহিক ভালো ভাবে চলতে চলতে গল্পের কাহিনী অন্যদিকে মোড় নিয়ে নেয়, তখন বোঝাই যায়না, মূল গল্প কি ছিল? আর সেই ধারাবাহিক থেকে কিছু শেখা তো দূর পুরোটাই দেখা যায়, আকাশ পাতাল পার্থক্য।
তেমনই এক ধারাবাহিক হল, স্টার জলসার ‘মাধবীলতা’ (Madhabilata)। সবেমাত্র শুরু হয়েছে ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিক নির্মাতা জানিয়েছেন, ধারাবাহিকের কাহিনী সত্যিই বাস্তব কাহিনী । তিনি ওড়িশ্যায় গিয়েছিলেন, সেখানে এরকমই একটি মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিল, তাঁর নাম ছিল মাধবীলতা। আর সেই মাধবীলতার সাথে ধারাবাহিকের মাধবীলতার ছাপ রয়েছে। গল্পের বুনন, বাস্তব উপাদান থেকেই গৃহীত।
ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যায়, মাধবীলতা গাছকে ভালোবাসে। সে গাছের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিতে পারে, এমনই একজন মানুষ। চোরাশিকারিদের হাত থেকে জঙ্গলকে রক্ষা করে। গ্রামের ক্ষমতাশালী পুষ্পরঞ্জন চৌধুরী গাছ কেটে দিতে চান, আর তার হাত থেকে গাছকে বাঁচায় মাধবীলতা। কিন্তু ভাগ্যচক্রে এই পুষ্পরঞ্জন চৌধুরী হন তার শ্বশুর।
আরও পড়ুনঃ কলমের কালি ফুরিয়ে যাওয়ায় ৯৮/১০০ নম্বর পেয়েছিল ‘মাধবীলতা’! পর্ব দেখে হাসির রোল নেটপাড়ায়
পুষ্পরঞ্জন চৌধুরীর ছেলে সবুজের সাথে আলাপ ঘটে মাধবীলতার। তার সাথে বিবাহ হয়, আর বিয়ের পর সংসার জীবন নিয়েই ব্যস্ত মাধবীলতা। সেই পারিবারিক কূটকাচালি, সংসারেই পরিপূর্ণ হয়, ধারাবাহিক। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সবুজের বাবার রক্ত পরীক্ষা হয়, রক্তের রিপোর্ট এসেছে, তার সুগার ধরা পড়েছে। সবুজের বাবা জিজ্ঞাসা করলেন রক্তে কি ধরা পড়েছে, মাধবীলতা জানান, রক্তে চিনি রয়েছে।
পুষ্পরঞ্জন বুঝতে পারেননি, তিনি হটাৎ বলে বসেন তার রক্তে কত কিলো চিনি আছে? তারপর মাধবীলতা বোঝান, মধুমেহ রোগ। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন না, তিনি জানান, রক্তে কি মধু থাকে? এই এপিসোড দেখে দর্শকরা বেশ মজা পেয়েছেন। কদিন আগে দেখা যায়, পদার্থ বিজ্ঞানে দুই নম্বর কম পাওয়া মাধবীলতা তার শ্বশুর কে পড়াশোনা শেখাচ্ছেন । সিলেটে অ, আ লেখা শেখাচ্ছেন। যা দেখে সকলেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন।