স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল, ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। একেবারে অন্যরকম, অন্যধারার ধারাবাহিক এটি। মেয়েদের জীবনের কথা বলে। সবেমাত্র শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক, আর এরই মধ্যে দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। এই গল্প যেন আমাদের জীবনের সাধারণ গল্প। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া খুললে দেখা যায়, মেয়েবেলা নিয়ে অনেকেই লেখালেখি করছে। আসলে ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক কাহিনী সকলকেই মুগ্ধ করছে।
যারা ধারাবাহিক দেখেন তারা জানেন, মৌ আর ডোডোর বিয়ে হয়েছে একটা শর্তের সাপেক্ষে। ডোডো ভালোবাসত চাঁদনিকে , কিন্তু বাধ্য হয়ে মৌকে বিয়ে করতে হয়। আর চাঁদনির জন্য বিয়ের মন্ডপ থেকে উঠে চলে যায় ডোডো। চাঁদনিকে বাড়ি ছাড়তে যায় ডোডো। এর কারণে সকলের কাছেই কথা শুনতে হয় মৌকে। আর তা নিয়ে মৌ জিজ্ঞাসাবাদ করলে ডোডো জানায়,’সেদিন চাঁদনির জায়গায় যদি তুই থাকতিস।
আর ওভাবে অজ্ঞান হয়ে যেতিস, আমি একই ভাবে তোর চিকিৎসা করে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এসে তবে ফিরতাম। ভবিষ্যতেও আমার সম্পূর্ণ অচেনা মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে রাস্তায় তাহলে তাকে আমি ডাক্তার দেখিয়ে পৌঁছে দিয়ে এসে তবেই বাড়ি ফিরব। তার জন্য যদি কিছু মানুষকে অপেক্ষা করতে হয় হবে। তাতে আমার কিছু করার থাকবে না।
ভবিষ্যতে মানে আমাদের এই সম্পর্কের ভবিষ্যত যত কম দিনই হোকনা কেন, আমাকে দোষারোপ করার আগে একবার প্রশ্ন করিস প্লিজ’। এরপর ডোডো জানায়, তোর মশাইয়ের টাকাটা আমি ঠিক ফেরত দিয়ে দেব। এক পয়সাও বাকি রাখবনা। কিন্তু ততদিন যদি তুই আমার সাথে না থাকতে চাস, তাহলে নিজেকে জোর করে কষ্ট করে আটকে রাখিস না।
তুই আমায় যেদিন বলবি, আমি সেদিনই তোকে মুক্তি দিয়ে দেব। কেউ তোকে কোনোরকম জোর করবে না। ডোডোর এই ব্যক্তিত্বকে অনুরাগীরা বেশ পছন্দ করেছেন। ডোডো ঠিক কাজ করেছে, ডোডো কোনোরকম অন্যায় কাজ করেনি। ডোডোর ব্যক্তিত্ব দেখে অনেকেই মুগ্ধ।