স্টার জলসার সম্প্রতি শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’। এই ধারাবাহিকটি দর্শকের বেশ পছন্দের হয়ে উঠেছে। শুরু থেকেই ধারাবাহিকের গল্প দর্শকের মন ছুঁয়েছে। আর পাঁচটা ধারাবাহিকের গল্প নতুন করে না বলে এক অন্যরকম সম্পর্কের বুনন দেখানো হচ্ছে এই গল্পে। একটা পরিবারে বাড়ির বউরা একে অপরের শত্রু নাকি পরিস্থিতির বিপাকে তারা কেবল অনুভূতি জাহির করতে ব্যর্থ?
‘মেয়েরাই মেয়েদের চরম শত্রু হয়’ এমনটাই এই সমাজে বেদ বাক্যের মত প্রতিবার শোনা যায়। কিন্তু একটা মেয়েকে কি একটা মেয়ের থেকে বেশি কেউ বুঝতে পারে? একটা মেয়েকে তার মা যেভাবে বোঝে বাকিরা কি সেভাবে বুঝতে পারে? পরিস্থিতি যদি তাদের শত্রু বানায় সময় তাদের পরম বন্ধু বানিয়ে তোলে। এমনই এক গল্পের স্বাদ এই নতুন ধারাবাহিকে।
বর্তমানে, গল্পে এসেছে বিয়ের ট্র্যাক। ডোডোর বিয়ে ঠিক হয় তার ভালোবাসার মানুষের সাথে। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা পরিস্থিতির সাথে বদলে দেয় বিয়ের কনে। যে বিয়ের মণ্ডপে ডোডোর সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল চাঁদনীর। সেই মণ্ডপে বিয়ে হতে চলেছে ডোডোর সাথে মৌ এর। ক্ষনিকের সময়ে কিছু সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেছে।
ডোডোর মা বীথি মৌকে একেবারেই পছন্দ করেননা। তাই ডোডোর সাথে মৌ এর বিয়ে তিনি মেনে নিতে পারেননি। তবে পরিস্থিতির কারণে বাধা দিতেও পারেননি। এক দুর্ঘটনায় ডোডোদের টাকার প্রয়োজন পড়লে তারা বাধ্য হয় মৌ এর মেসোর কাছ থেকে টাকা নিতে। তবে মৌ এর মেসো তো শুধু শুধু টাকা দেবেননা তাই শর্ত থাকে মৌকে ডোডোকে বিয়ে করতে হবে।
সবাই মন থেকে মেনে নিতে না পারলেও কঠিন সময়ে তাদের কাছে আর কোনো পথ খোলা থাকেনা। তাই ডোডো বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে রাজি হয় মৌকে। এবার এই বিয়ের পর মৌ, ডোডো আর বীথির জীবন কোন সরলরেখায় দাঁড়াবে তা সময়ের সাথেই বোঝা যাবে। আগামী পর্ব গুলিতে চোখ রাখলেই সব স্পষ্ট হবে।