সকলের পছন্দের, সকলের খুব কাছের একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘মিঠাই’ (Mithai)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকের ছিল বিপুল জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান মিঠাই এর। মিঠাই যে জনপ্রিয় তা কিন্তু নয়, মিঠাই এর উচ্ছেবাবুও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। তাইতো উচ্ছেবাবুর নামে এতরকমের জিনিস পাওয়া যায়। সবুজ জিনিস দেখা গেলেই সেটা উচ্ছেবাবুর নামে হয়ে যায়, এতটাই জনপ্রিয়তা।
তাই তো কেউ চায়নি মিঠাই মারা যাক। সবাই চেয়েছিল, মিঠাই এর কোলেই জন্ম নিক তাদের ছেলে শাক্য। তাদের ছেলে তাদের কাছেই বেড়ে ওঠুক। শাক্যর শৈশব তাদের কাছেই কাটুক। কেউ চায়নি, মিঠাই এর মৃত্যুর পরিণতি। মিঠাই নির্মাতা কিন্তু তাই করলেন। মিঠাই আর সিডের কোলে দেখালো তাদের ছেলে শাক্য কে। এই বিষয়টা দেখে সকল অনুরাগী বেশ আপ্লুত।
কিন্তু ব্যাপারটা হল, মিঠাই মারা যাক কেউ চাননি। কিন্তু আদিত্য আগরওয়াল যে তাদের ছেড়ে দেবে না। আদিত্য তো সবসময়ই চায়, তাদের ক্ষতি করতে। সেই মত প্ল্যান করে আগুন লাগায়। আর সেই আগুনে জানা যায় মিঠাই মৃত। কিন্তু তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় না। মিঠাই এর মৃত্যুর খবর শুনে সবাই বিমর্ষ।
এরই মাঝে দেখা যায়, ছেলে শাক্য এত দুষ্টু, তাকে সামলাতে নতুন শিক্ষক উপস্থিত হয়েছে তাদের বাড়িতে। আর তার নাম মিঠি, তাকে দেখতে পুরোপুরি মিঠাই এর মত। তবে আদব কায়দা তে মিঠাই এর বিপরীত। মাথায় নেই লম্বা বেনী। পরনে রয়েছে ওয়েস্টার্ন পোশাক, একেবারে মিঠাই এর বিপরীত।
সবার একটাই প্রশ্ন তাহলে এই মানুষটি কে? মিঠাই এর মৃত্যু নিয়ে মিঠাই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ধারাবাহিকটার নামটাই তো মিঠাই, তাহলে কি করে মারা যেতে পারে মিঠাই। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে, মিঠাই মারা যায়নি, মিঠাই বেঁচে রয়েছে। হয়ত মিঠাই দোষীদের শাস্তি দিতে মিঠি রূপে আগমন। কিংবা কোথাও সে লুকিয়ে রয়েছে, ঠিক সময়েই সামনে আসবে। এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে শেষ কথা হল মিঠাই মারা যায়নি।