জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মিঠাই’ (Mithai)। এই ধারাবাহিক সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। প্রথম থেকেই সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল, তাই তো টানা ৫২ সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় সবার প্রথমে ছিল মিঠাই। বর্তমানে টিআরপি তলানিতে ঠেকলেও, ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা একই রয়েছে। ধারাবাহিকের কাহিনীর ভোলবদল ঘটলেও, মিঠাই দেখতে আগ্রহী অগুন্তি দর্শক।
আসলে সকলেই পছন্দ করে মিঠাই-সিডের রসায়নটা। মিঠাই এর মৃত্যু দেখিয়ে যখন মিঠিকে আনা হয়, তখন থেকেই দর্শকরা খোঁজ করেছেন মিঠাইকে। মিঠাই কোথায় ? মিঠাই কি আর ফিরবে না? মিঠি আসার প্রথমদিন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকলেই খোঁজ করেছেন মিঠাই-এর। দর্শকদের বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে ধারাবাহিক নির্মাতা মিঠাইকে সামনে নিয়ে এসেছে। মিঠাইকে দেখে দর্শকরা আবেগে ভাসছেন।
মিঠাই এসেছে বটে, সাথে মিঠাইয়ের মেয়ে মিষ্টিও উপস্থিত, কিন্তু মিঠাই-এর স্মৃতি উপস্থিত নেই। সে সবকিছুই ভুলে গেছে, না চিনতে পেরেছে সিডকে, না চিনতে পেরেছে শাক্যকে। আর এরপরই দর্শকদের মনে আবারও প্রশ্নের ভিড়, তাহলে কি চিনতে পারবে না আর শাক্যকে? কবে দেখা মিলবে শাক্য-মিঠাই এর মেলবন্ধন?
অবশেষে সামনে এল সেই উত্তর। মিঠাই যখন মিষ্টিকে খুঁজতে যায়, তখন সিডের ঘরে, দেখতে পায় শাক্যকে। অচেনা ছেলের প্রতি একটা টান অনুভব করে, এই টান মাতৃস্নেহের। শাক্যকে বুকে জড়িয়ে বলে ওঠে ‘গোপাল সোনা’। মিঠাই এর অভিব্যক্তি দেখে মনে হল মিঠাই যেন এই টানের অনুভূতিকেই খুঁজে বেড়াচ্ছিল বহুবছর। এরপর কি স্মৃতি ফিরবে মিঠাই এর? তা আগামী এপিসোড গুলোতেই বোঝা যাবে।
তবে এত সুন্দর মেলবন্ধন দেখে বেশ খুশি অনুরাগীরা। তারাও অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করেছিল এই দৃশ্যের। তাই তো তারা বলছে, ‘ মিষ্টি – মিঠি -র মিষ্টত্ব দেখার পর শাক্য-মিঠাই এর দৃশ্য দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলাম। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু পেলাম’। পাশাপাশি অনেকেই সৌমিতৃষার অভিনয়ের অনেক প্রশংসা করেছেন, তারা ভাবতেই পারছেনা একজন মানুষ দুটো চরিত্রে, সম্পূর্ণ আলাদা অভিব্যক্তিতে অভিনয় করছে। তারা ভাবতেই পারছেনা মিঠাই -মিঠি একই মানুষ। শুধুমাত্র অভিনয়ের চরিত্রে আলাদা।