মিঠিকে ফেরাতে ঘর ছাড়লো শাক্য! মিঠাইয়ের নতুন প্রোমোতে হৈ চৈ অনুরাগীমহলে

টিআরপি যাই হোক না কেন, এখন জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই ধারাবাহিকের রমরমা বাজার। বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে মিঠাই (Mithai)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মানুষকে বিপুল আনন্দ

Nandini

mithai new twist promo on air

টিআরপি যাই হোক না কেন, এখন জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই ধারাবাহিকের রমরমা বাজার। বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে মিঠাই (Mithai)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মানুষকে বিপুল আনন্দ প্রদান করে এসেছে। একটা একান্নবর্তী পরিবারে পরিবারের প্রতি মানুষ কিভাবে এক সুতোয় বাঁধা থাকে তা শেখায় এই গল্প। বাস্তব জীবনের মতোই এই ধারাবাহিকে আছে অনেক ওঠাপড়া টানাপোড়েন। কিন্তু তবুও মিঠাই কোথাও না কোথাও দর্শকের মনে গেঁথে আছে।

আর পাঁচটা ধারাবাহিকের মতো এক ছকের গল্প নয়। সম্প্রতি, মিঠাইতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। মোদক পরিবারের বিজনেস শত্রু আদিত্য আগারওয়ালের চক্রান্তে মিঠাইকে খুন করা হয়েছে। সকলে মিঠাই মৃত জানলেও আদৌ মিঠাই মৃত নাকি সে খুব শীঘ্রই সামনে আসবে তা নিয়ে একটা দোটানা অনুরাগীদের মধ্যে থেকেই গেছে।

mithai twist

এদিকে মিঠাইয়ের মৃত্যুর পর তার প্রাণের মনোহরা প্রাণ হারিয়ে ফেলেছে প্রায়। মিঠাইয়ের ছেলেকে সামলে উঠতে পারেনা সিদ্ধার্থ। পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে সে এখন পুলিশ অফিসার। মিঠাইয়ের খুনিকে ধরাই তার প্রধান লক্ষ্য। আর এই সবকিছুর মাঝে মনোহরায় এসে উপস্থিত হয়েছে মিঠি নামের একটি মেয়ে। জেক দেখতে অবিকল মিঠাইয়ের মতো। তার অধিকাংশ হাবভাবও মিঠাইয়েরই মতো।

মিঠিকে দেখে দর্শক অনুমান করেছিলেন যে মিঠিই হয়তো মিঠাই। সে ছদ্মবেশে ফিরে এসেছে ঠিক যেমন একসময় সিদ্ধার্থকে যখন মারার চেষ্টা হয়েছিল। তখন সিডি সেজে ফায়ার এসেছিলো সিদ্ধার্থ। তবে সময়ের সাথে সাথে সবটা গুলিয়ে যাচ্ছে। হিসেবে মেলাতে পারছেননা দর্শক। কখনও মিঠিকে মিঠাই বলে মনে হতে হতে সে ভিন্ন চরিত্র হয়ে উঠছে দর্শকের কাছে। বোঝাই যাচ্ছে এই রহস্য এত তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ার নয়।

অন্যদিকে, মিঠি চরিত্রটি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল। বাবার পছন্দ করা ছেলেকে সে বিয়ে করবেন। বিয়ে করতে চেয়েছিলো নিজের ভালোবাসার মানুষকে। কিন্তু সে মিঠিকে নয় তার সম্পত্তিকে ভালোবেসেছে আর তাই সেই স্বপ্ন পূরণ হল না মিঠির। মিঠির বাবা যখন মিথির খোঁজ পেয়ে মনোহরায় মিঠিকে নিতে আসছে মিঠি মিঠাই সেজে ওঠে বাবাকে ধরা না দিতে।

তবে সম্প্রতি এক নতুন প্রোমো প্রকাশ পেয়েছে ধারাবাহিকের। যেখানে দেখা যাচ্ছে। মিঠির বাবা সত্যি জেনে ফেলেছেন আর মিঠিকে নিতে এসেছেন। সিদ্ধার্থও তাকে চলে যেতে বলে। অসহায় মিথ্যা অনিচ্ছা সত্বেও বাবার সাথে যায়। বলা যায় তার বাবা তাকে জোর করেই নিয়ে চলে যান। কিন্তু শাক্য ও মিঠির মাঝে গড়ে উঠেছে এক মিষ্টি বন্ধুত্ব। তাই শাক্য মিঠির চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনা। আর মিঠিকে ফিরিয়ে আনতে একাই বেরিয়ে পড়ছে বাড়ি থেকে। এবার শাক্যর কি হতে চলেছে তা সময়ের সাথেই জানা যাবে।

Related Post