বাংলা ধারাবাহিক গুলোতে একই ডায়ালগ থাকে। কখনও কর্তা বাবু, কখনও কারো নাম ধরে বাবু, কখনো আবার দাদা। ধারাবাহিকের শুরুতে ধারাবাহিকের নায়িকারা নায়ককে এই ভাবেই সম্বোধন করেন। আবার বিয়ের পরও দেখা যায় এই একই ভাবে সম্বোধন করতে। তারপর দেখা যায় স্বামীকে তুমি না বলে আপনি বলতে। এই যেমন মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালে নিপা আর রুডির (Nipa Rudra Da) বিয়ে হয়েছে ঠিকই, তবে আদতে কিন্তু তাকে দাদা বলেই ডাকে সিধার্যের বোন।
এই যেমন ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে শ্যামা নিখিলকে কর্তা বাবু বলে ডাকত। আবার ‘যমুনা ঢাকি’ তে যমুনা সঙ্গীতকে আপনি বলে ডাকত। আবার ‘মন ফাগুন’ ধারাবাহিকে পিহু ঋষিকে খুবই দা বলে ডাকত। যদিও বিয়ের সময় পিহু বলেছিল আর টুবাই দা বলে ডাকবে না, কিন্তু সে এখনও ডাকে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে নিপাও কী রুদ্রকে রুদ্র দা বলেই ডাকবে ?
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই এর মিঠাই আর সিদ্ধার্থ ছাড়াও রয়েছে এই ধারাবাহিকের অনান্য সদস্যরা। যারা দর্শকদের কাছে খুবই আপন। তেমনই একটি চরিত্র হল নীপা আর রুদ্র। নীপা হল মোদক বাড়ির ছোটো মেয়ে। আর রুদ্র হল সিদ্ধার্থের হোস্টেলের সিনিয়র। নীপা প্রথম থেকেই রুদ্রকে দাদা বলেই আসছে।
ঘটনাচক্রে রুদ্রকে নীপার পছন্দ হয়ে যায়। কিন্তু রুদ্রতো নীপার থেকে অনেক বড় , নীপার দাদা সিদ্ধার্থের থেকে সিনিয়র। বয়সেও অনেক বড়। কিন্তু সেই দাদা কেই তার পছন্দ হল। তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই কথা মোদক বাড়ির সবাই জেনে যায়। কিন্তু নীপার মা কিছুতেই রাজি হয়না। শেষমেশ নীপা আর রুদ্র পালিয়ে বিয়ে করে।
বিয়ে তো হল। এরপর? নীপাও কি বিয়ের পর আর সবার মত রুদ্র দা বলে ডাকবে? এই তো সম্প্রতি লালকুঠি তে অনামিকা কে তার শাশুড়ি বিক্রম কে অন্যভাবে ডাকতে বলেন। অনামিকা তাই বিক্রম কে বিক্রম দা বলে ডাকলেন। এই দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ট্রোল। তাই দর্শকরা চান না তাদের প্রিয় জুটি নীপা আর রুদ্রকে ট্রোল করুক। তারা চাননা নীপা রুদ্রকে রুদ্র দা বলেই ডাকুক।