আবারও এক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! বিদিশার রহস্য মৃত্যুতে ছড়াচ্ছে চাঞ্চল্য

ফের শোকের ছায়া। মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মডেল বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder)। পল্লবী দের মতো তারও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

Desk

model bidisha dey majumder hanging body found

ফের শোকের ছায়া। মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মডেল বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder)। পল্লবী দের মতো তারও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তার নাগের বাজার ফ্ল্যাট থেকে। ওই ফ্ল্যাটে তিনি ভাড়া থাকতেন। কিন্তু কেন তিনি এমনটা করলেন সত্যিই ভেবে পাচ্ছেননা তার পরিবার।তার খুব কাছের বন্ধুরা জানিয়েছেন মানসিক অবসাদের কারণে এর আগেও নাকি তিনি দু বার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন।

বন্ধুরা বাঁধা দেওয়ায় তখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে তিনি পারেননি। কিন্তু এবারে আর শেষ রক্ষা হল না। বুধবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন মডেল বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder)। জানা গেছে, বিদিশার একটি ১২-১৩ বছর বয়সী বোনও আছে। পরিবারের দ্বায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। বন্ধুদের কথায় তার অনেকগুলি সম্পর্ক ছিল প্রথমে এক যুবকের সাথে সম্পর্কে ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন তবে কোনো এক কারণে তার সাথে সম্পর্ক ভেঙে যায়। তারপর এক শরীরচর্চা প্রশিক্ষকের সাথে তার বেশ ঘনিষ্টতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কও থেকে না বেশিদিন।

bidisha dey majumder hanging body found in her flat

বিদিশা দে মজুমদারের অস্বাভাবিক মৃত্যু : (Model Bidisha Dey Majumder Commited Suiside)

বিদিশার ফ্ল্যাটে তার ঝুলন্ত দেহের পশে একটি সুইসাইড যেতেও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, তাতে লেখা আছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি সমস্যায় ছিলেন তাই এমন পথ বেছে নিলেন। তবে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কথায় সাফল্য তার হাতের মুঠোয় ছিল। টাকা পয়সা নিয়ে কোনো সমস্যায় সে ভুগছিল না। এক বন্ধু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নিজের প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিদিশা তারপর তিনি তার ওই বান্ধবীকে ফোনও করেছিলেন হয়ত কি ঘটেছে তা জানাতে। কিন্তু সেই বন্ধু ফোন ধরতে পারেননি। তাই তিনি আফসোস প্রকাশ করেছেন যদি ফোন তা তুলতে পারতেন হয়তো পরিস্থিতি এরকম হত না।

তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের জেরে বিদিশার বন্ধুমহল থেকে আরো জানা যায়, ইদানিং তিনি খুব নেশা করতেন। প্রেমঘটিত সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা বিক্ষিপ্ত ছিলেন। পল্লবী দের (Pallavi Dey) মৃত্যুতে বিদিশা লিখেছিলেন ‘মানে কি এসব, মানে নিতে পারলাম না’ আর সেই বিদিশাই নিজে এমন এক ঘটনা ঘটিয়ে বসলেন কিহুদিনের তফাতেই। তার এক বান্ধবীকে তিনি বলেছিলেন তারও পল্লবীর মত ফুরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। এছাড়া বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি কিছু শারীরিক অসুখের কারণে চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন।

বিদিশা কেন এভাবে সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন তা এখনো বেশ ধোঁয়াশায়। পুলিশ জানিয়েছে, আর জি কর হাসপাতালে তার দেহের ময়না তদন্ত করা হবে। বিদিশার পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনো অভিযোগ দায়ের করা না হলেও পুলিশ এটাকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। তার মৃত্যুর কোন রহস্য সামনে আসবে তা সময়ই বলে দেবে।

Related Post