জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় যেসব ধারাবাহিক গুলো সম্প্রচারিত হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি ধারাবাহিক হল ‘মন দিতে চাই’ (Mon Dite Chai)। ধারাবাহিকটি টিভির পর্দায় রাত ১০ টাকা এর স্লটে সম্প্রচারিত হয়। তিতির আর সোমরাজকে নিয়ে শুরু হয় ধারাবাহিকের গল্প। এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু অন্য ধারাবাহিকের থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রথমদিকে নায়ক সোমরাজ মেয়েদের ঔদ্ধত্যকে মেনে নিতে পারতোনা।
সে ভাবত পুরুষই সবার সেরা। আর তাই নায়ক-নায়িকার সেরকম কোনো মিল চোখে পড়ে না, কিন্তু বর্তমানে একে অপরের অনেকটা কাছে চলে এসেছে, কেউ কাউকে ছাড়া চলেনা। এখন সোমরাজ বুঝেছেন প্রথম থেকে তিতির ঠিক ছিল। সে ভুল ছিল। তার সৎ মা মালিনী ব্যানার্জী সবসময় তার ক্ষতি চেয়ে এসেছে। এখন সোমরাজ আর তিতিরকে পথে বসিয়েছেন মালিনী।
অনেক লড়াই করে ঝড়-ঝাপটা সামলে দুজনে জীবন চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই জীবন কুৎসিতে পরিণতি পেল। তিতির মারা গেছে। তিতিরকে বাঁচাতে পারল না সোমরাজ। বাড়ির সকলকে এই খবরটা দেয়, মালিনী দেবী নাটক করে কাঁদতে থাকেন। এরপরে বাড়িতে আয়োজন করা হয় তিতিরের স্মরণসভার। মালিনী দেবী নিজের হাতে তিতিরের ছবিতে মালা দেয়।
আরও পড়ুনঃ দুষ্কৃতীর কবলে দত্তবাড়ি, গুলিবিদ্ধ সৃজন! ফাঁস ‘নিম ফুলের মধু’র রুদ্ধশ্বাস পর্ব
তিতির মরে যাওয়ায় সে খুব খুশি হয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও সকলের সামনে বলে, ‘আমার সাথে যাই হোক না কেন? তোমায় মরে যেতে হবে? এটা তো আমি চাইনি তিতির। তিতির তুমি চলে গেলে, আমার সোমরাজটার যে কি হবে? ঝগড়া অশান্তি কোন বাড়িতে না হয় তাই বলে তুমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে। এত বড় পরিহাস তোমার সাথে? আমি ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহি চাইব।‘
আর অমনি সঙ্গে সঙ্গে সোমরাজ উপস্থিত হয়। সে বলে ‘আমিও চাই জবাবদিহি। কারা আমার থেকে আমার তিতিরকে কেড়ে নিয়েছে। কেন তিতিরের সাথে এতটা জঘন্য অপরাধ করল আমিও জানতে চায়। যারা আমার তিতিরের সাথে এমন ব্যবহার করেছে আমি কাউকে ছাড়ব না।‘ অন্যদিকে তিতির মরেনি। মালিনী ব্যানার্জীর মুখোশ সবার সামনে খুলে দিতে এই পন্থা।