টলিপাড়ায় যেমন অনেক গুলো ধারাবাহিকের আগমন ঘটে, তেমনই অনেকগুলো জুটির আগমন ঘটে । অনেকের কাছে সব জুটি সেরা, আবার অনেকের কাছে নির্দিষ্ট কোনো জুটি সেরা। ধারাবাহিক শুরুর সময় থেকেই এটা চলে আসছে। বর্তমানে এখন জুটির বাজার কাপাচ্ছে মৌ আর ডোডোর জুটি। ডোডোর প্রেমে পড়েনি এমন বাঙালি নারী খুবই কম দেখা যায়।
বুঝতেই পারছেন কোন ধারাবাহিকের কোন জুটির কথা বলছি। স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। ধারাবাহিকটির বয়স মাত্র কয়েক মাস। এরই মধ্যে ধারাবাহিকের কাহিনী-চরিত্র সবটাই দর্শকদের মণিকোঠায়। ধারাবাহিকের জুটির নাম মৌ (Mou) ডোডো (Dodo) বা মৌ-নির্ঝর। তবে মৌ-নির্ঝরের থেকে দর্শকরা মো-ডোডো বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে তাদের জুটির নাম দিয়েছেন মৌঝর।
মৌয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বীকৃতি মজুমদার। তাঁর সুন্দর মিষ্টি হাসি, শান্ত কথাবার্তা সবটাই আকৃষ্ট করে অনুরাগীদের। অন্যদিকে তাঁর বিপরীতে যিনি আছেন, অর্থাৎ ডোডোর চরিত্রে যে অভিনয় করছে তিনি হলেন অর্পণ ঘোষাল। অর্পণ ঘোষালের কথার সুর, হ্যান্ডসাম লুক, মোটা ফ্রেমের চশমা সবটাই দর্শকের কাছে আকর্ষণীয়। পর্দায় এই জুটির রাগ-অভিমান, লুকানো ভালোবাসা সবটাই দেখে অনুরাগীরা বেশ আনন্দিত হন।
পর্দায় দেখা যায় ডোডোর জন্য মৌ কষ্ট পায়। ডোডোর কাছাকাছি যেতে পারেনা মৌ। কিন্তু অফ স্ক্রিনে সম্পর্কের সমীকরণ একেবারেই উল্টো। অর্পণ এবং স্বীকৃতি দুজনেই খুব চুপচাপ। প্রথম প্রথম দুজনে অফ স্ক্রিনে অতটা কথা বলত না, এখন কথা হয়। অর্পণের থেকে স্বীকৃতি আরোই শান্ত, কাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস, বাড়তি কথা বলেননা।
কিন্তু অর্পণ মৌ কে খুবই ভয় পায়, তাই প্রথমদিকে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। অর্পণের কথায়, স্বীকৃতি একজন নামী অভিনেত্রী, একজন ভালো মেয়ে, তাই প্রথমদিকে কথা বলতে ভয় পেত। এখন ভয় টা কেটে গেছে তাই কথা হয়। ভয়ের মধ্যে দিয়েই অর্পণ স্বীকৃতিকে লেগফুল করেন। অন্যদিকে স্বীকৃতিও অর্পণের প্রশংসা করেছেন, অর্পণও খুবই ভালো একজন মানুষ।