বিদ্যাক্ষেত্রে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অতুলনীয়। তিনি না থাকলে আমরা স্বরবর্ণ- ব্যঞ্জনবর্ণ সম্বন্ধে জানতে পারতাম না। তিনি সত্যিই ঈশ্বর। এই ঈশ্বরকে নিয়ে কিন্তু কম রসিকতা হয় না। কেউ বেশি পড়াশোনা করলেই তার সাথে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম যুক্ত হয়ে যায় । নানারকম ব্যঙ্গ। এবার সেই সব ব্যঙ্গ উঠে এল বাংলার ধারাবাহিকে। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিকে দেখা গেল সেই ব্যঙ্গের উদাহরণ।
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। সৃজন আর পর্ণা জুটি দর্শকমনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা জানেন সৃজনের চাকরি চলে যাওয়ায়, পর্ণা ছদ্মবেশে বিপাশা বাসু নামে সৃজনকে চাকরি দেয়। একটা শাড়ির দোকানের চাকরি। আর তার জন্য পর্ণা নিজের গয়না বন্দক দিয়েছে।
পর্ণার এই ছদ্মবেশী কথা একমাত্র পর্ণার দেওর আর ননদ জানে। ব্যবসার কাজে মনযোগ দেওয়ায় পর্ণার নিজের কাজে বেশ অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। কারণ তার এখন একটাই লক্ষ্য সৃজনকে চাকরি দেওয়া। রোজ খবরের দিকে আর নজর দেওয়া হচ্ছে না। তাই নিজের অফিসের পেন্ডিং কাজ রাত জেগে পর্ণা করছে।
রাতে কাজ করতে পর্ণার ইচ্ছা করছিল না, ঘুম পাচ্ছিল। তাই সে এবার বিদ্যাসাগরের পথ অবলম্বন করলে। বিদ্যাসাগর যেমন পড়াশোনার জন্য নিজের চুলের টিকি বেঁধে রাখত। ঠিক তেমনই পর্ণা তার বিনুনিটা লাল ফিতা দিয়ে জানায় বেঁধে দিল। যখনই ঘুম আসছে তখনই ওতে টান পড়ছে, আর পর্ণার তখনই ঘুম চলে যাচ্ছে, কাজে মন দিচ্ছে।
View this post on Instagram
পর্ণার এহেন কান্ড দেখে নেটিজেনরা বেশ খিল্লি করছেন। পর্ণাকে সবাই বলছেন মেয়ে বিদ্যাসাগর। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘লেডি বিদ্যাসাগর। এই লেডি সব পারে। কাজের মেয়ে থেকে ঘরের বউ, উকিল, জাজ সবকিছু’। আর একজন লিখেছেন, ‘বিদ্যাসাগরের নাতনী’। কেউ তকমা দিয়েছেন, ‘ লেডি ন্যাকামোশ্বর’, আবার কেউ লিখেছেন, ‘বিদ্যাসাগরের দ্বিতীয় সংস্করণ’।