Neem Phooler Madhu : এক জায়গায় বাসন থাকলে তো ঠোকাঠুকি লাগেই, অনেক বাড়িতে অনেক রকম মানুষ দেখা যায় যাদের অসহ্য লাগে ওই ঠোকাঠুকি। যাদের অসহ্য লাগে তারাই তুলকালাম করে। কিন্তু যারা বোঝে তারা সেটা করেনা। ঠিক তেমনই আমাদের সম্পর্কের মধ্যেও সেটা দেখা যায়। এমন অনেক সম্পর্ক আছে, যাদের তুমুল ঝগড়ার পরেও সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবে না। আবার এমন সম্পর্ক আছে অল্প তর্কাতর্কিতেই হয়ে যায় ডিভোর্স। জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিকেও এখন সেটাই চলছে।
এই যেমন দেখা যাচ্ছে জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) তে। শুরু থেকেই পর্ণা আর সৃজনের মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই ছিল। পর্দার বুদ্ধিমত্তাতে সেটা ঠিক হয়ে যেত, কিন্তু ওই যে অনেকের আবার অসহ্য লাগে। এই অসহ্য লাগার মানুষটি হল সৃজনের মা কৃষ্ণা। বাবু্র জীবনের লাঠাই। বাবু মা ছাড়া কারোর কথা শোনেনা। আর তাই মায়ের ফুসলানিতে সৃজন ডিভোর্স দিতে চায় পর্ণাকে।
সৃজনের একেবারেই ইচ্ছা নেই ডিভোর্সের, নিজের ইগো আর মায়ের কথার বশে সে নিজেদের সম্পর্ককে কাঠগড়ায় নিয়ে গেছে। নিজেদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য পর্ণা অনেক চেষ্টা করেছে , কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে গেছে। দর্শকরা ভেঙে পড়েছেন এটা দেখে, সত্যিই তাদের পর্ণা-সৃজনের ডিভোর্স হবে? এই পুজোর সময় কে না চায় শান্তিতে থাকতে।
পর্ণা-সৃজন যেমন শান্তিতে থাকতে চায় তেমনই তারা দর্শকদেরও শান্তি দিতে চায়। আর তাই আবারও যে তারা কাছাকাছি আসবে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল সাম্প্রতিক প্রোমো ভিডিও দেখে। দত্তবাড়িতে হচ্ছে দুর্গাপূজা। এই সময় কি রাগ করে থাকলে চলে নাকি, আর তাই সবাই রাগ অভিমান ভুলে একসাথে করছে ভীষণ মজা।
View this post on Instagram
পুজোয় থাকছে নাচের আসর, কবিগানের লড়াই আরও কত কি। পর্ণা আর সৃজন একসাথে মিলে সব অনুরাগীদের তাদের বাড়িতে যাওয়ার আহ্বান করল। এই প্রোমো দেখেই দর্শকরা বুঝে গেছেন আর নয় রাগ-অভিমান আবার কাছাকাছি পর্ণা-সৃজন। তবে দর্শকও আশায় আছেন এই পুজোর মধ্যে দিয়েই হয়ত সৃজনের মন বদলে যাবে আর সে এই ডিভোর্স কেস তুলে নেবে। কিন্তু আদৌ সেটা হবে কিনা তা সময়ের সাথেই জানা যাবে।