জি বাংলার (Zee Bangla) অতীব জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। সম্প্রচার শুরু হতেই প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল, আর সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এখনও তার স্থান প্রথম দশের মধ্যেই। প্রত্যেক সপ্তাহে ধারাবাহিকের গতিবিধির বদল ঘটছে। আজ এই কান্ড তো কাল ওই কান্ড। ঘটনা সামাল দিতে দিতেই ধারাবাহিকের মূখ্য চরিত্র পর্ণা কাহিল।
আবারও পর্ণার জীবনকে অতীষ্ট করতে নতুন শত্রুর আগমন। পর্ণাকে শাশুড়ি সহ্য করতে না পারলেও পর্ণা সংসারের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয়। এই কাজে সৃজন সবসময় তার পাশে থাকেনা, তা সত্ত্বেও পর্ণা সবসময় সৃজনের সাথে থাকে। সৃজনকে বাঁচাতে পরিবারকে বাঁচাতে সবসময় মরিয়া। পরিবারের কিসে ভালো হবে সেদিকেই তার নজর।
বটব্যালের মতো শয়তানি লোকের মুখোশ খুলে দিয়ে বাড়ির সকলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। কিন্তু তারপরও সৃজন এবং তার মা পর্ণার প্রতি বিমুখ। এতদিন ‘শাড়ি কথা’-র সব দায়িত্ব পর্ণা নিজের হাতে সামলেছে, শাড়ির ডিজাইন থেকে শুরু করে লোকজনের সাথে ডিল করা সবটাই একা হাতে সামলেছে। কিন্তু এখন ব্যাপারটা হয়ে গেছে অন্য। আর সে কারণেই শাড়ির কথার জন্য খোঁজ চলছে নতুন অ্যাসিস্ট্যান্টের।
সেই নতুন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউ দিতে চলে এসেছে দত্ত বাড়িতে। আর সে হল আবার পর্ণার কলেজের বন্ধু ইশা। সে পজিটিভ মানুষ নয়, পর্ণার সাথে তার কলেজ থেকে শত্রুতা। পর্ণার উপর অতীতের একটা আক্রোশ ছিল। সেই আক্রোশ মেটাতে আবারও সে হাজির পর্ণার সামনে।
আরও পড়ুনঃ সতীন ফিরে আসতেই ‘সতীন কাঁটা’ ব্রত পালন ঠাম্মির, ‘নিম ফুলের মধু’ দেখে হাসি থামছেনা দর্শকের
সৃজনের মা ইশাকে রাখতে রাজি হয়ে যায়। ইশা মনে মনে ভাবে এই তো সুযোগ। পর্ণা বুঝতেই পেরেছে ইশা ব্যবসায় ঢোকা মানে ব্যবসা তছনছ করা। তাই পর্ণা চায় ইশা শাড়ির কথায় না থাকুক। কিন্তু সৃজন এবং কৃষ্ণা কিছুতেই শোনেনা পর্ণার কথা। বরং তাকে অনেক অপমান করে। এবার কি করবে পর্ণা? পর্ণার জীবনে নতুন কী কী ঝড় আসতে চলেছে সেটাই দেখার।