সবার জীবনেই স্বপ্ন থাকে। কারোর স্বপ্ন থাকে বড় বাড়ি করার আবার কারোর স্বপ্ন থাকে নিজের একটা বিজনেস করা। এই স্বপ্ন গুলো যখন সত্যি হয় মানুষ যেমন আনন্দ পায়। আবার স্বপ্নগুলো যদি ভেঙে যায় তখনই কষ্টটা হয় বেশি। তখন দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। বর্তমানে এমনটাই ঘটেছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)ধারাবাহিকের সৃজনের জীবনে।
সৃজন তিল তিল করে একটা স্বপ্ন সফল করেছিল। যদিও সৃজন একা করেনি, সৃজনের সাথে পর্ণাও। দুজনে মিলে তৈরি করেছিল ‘শাড়ি কথা’ সেই শাড়ি কথা আজ আর নেই, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ঘটনায় সৃজন খুবই কষ্ট পেয়েছে, না বলছে কারোর সাথে কথা, না রাখছে কারোর সাথে সম্পর্ক। পর্ণা অফিসে বেরোলে সৃজনের রাগ হয়। সবার কাজ আছে, শুধু তার কাজ নেই।
তাই পর্ণা কিছু বলতে গেলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। পর্ণা বুঝতে পারে সৃজনের একটা চাকরির প্রয়োজন। তাই সে চারিদিকে কাজ খুঁজতে থাকে, কিন্তু পায়না। এদিকে সৃজনও কাজ খুঁজতে থাকে, কিন্তু কোনো ভ্যাকান্সি পায়না। আর তাই বাধ্য হয়ে পর্ণা জেঠুর কাছেই হাত পাতল।
আরও পড়ুনঃ মিশকার সাথে জেলে সূর্য, সাইকো মিশকার কান্ডকারখানা ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শকমহলে
পর্ণা জেঠুকে বলে, ‘আমার একটা উপকার করবেন? ও যদি একটা দিন বাড়িতে থাকে, ও তাহলে ডিপ্রেশনে চলে যাবে। সৃজন যে বেকার হয়ে গেছে, ও সেটা মেনে নিতে পারছে না। আর আমিও সেটা দেখতে পারছি না। তাই আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের মশলার দোকানে সৃজনকে একটু বসতে দেবেন?’
পর্ণার কথায় সকলেই অবাক হয়ে যায়। অয়ন এই কথা মেনে নিতে পারেনা। অন্যদিকে কৃষ্ণাও রাজি হয়না তার ছেলে মশলার দোকানে বসবে। সৃজন মশলার দোকানে বসলে সৃজনের মান সম্মান চলে যাবে। কারো কথা না শুনে পর্ণা আবারও জেঠুর কাছে হাত জড়ো করে অনুরোধ করে। এবার দেখা যাক, আর জেঠু সম্মতি দিয়ে দেন।