জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। টিআরপি তালিকাতেও বেশ সুনাম অর্জন করেছে এই ধারাবাহিক। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার স্থান রয়েছে ১ থেকে ৫ এর মধ্যে। সৃজন -পর্ণা দুজনেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকলেও, বর্তমানে পর্ণাই যেন ধারাবাহিকের মূল কেন্দ্র বিন্দু। তার একের পর এক কান্ড দেখার জন্য দর্শকরা উদগ্রীব থাকেন। সে যেভাবে বুদ্ধি দিয়ে সবকিছু করে, সবাই তার প্রশংসা করে।
কিন্তু সেই পর্ণা আজ বুদ্ধির কাছে হেরে গেছে। পর্ণা খুব বিপদে পড়েছে। সৃজনকে প্রতিষ্ঠিত করাতে গিয়ে নিজে বিপাশা নামক মহিলার ছদ্মবেশ নেয়। বিপাশা সেজে সৃজনকে চাকরি দেয়। সব বেশ ভালোভাবেই চলছিল, কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেয় তিন্নি। আর তিন্নির সাথে সহযোগিতা নেন বটব্যাল। দুজনেই চক্রান্ত করে পর্ণাকে হাতে নাতে ধরে।
সবার সামনে বিপাশার মুখোশ খুলে দেয়। সবাই পর্ণার উপর রেগে যায়। কৃষ্ণা ঠিক করে নেয়, এই বউকে আর ঘরে রাখবেনা, ডিভোর্স দেবেই। তার জন্য সে যা করতে হয় করবে। সৃজনও মায়ের কথা শুনে রাজি হয়ে যায়। সৃজনের বাবা জানায়, পর্ণার ১০ লক্ষ টাকা শোধ না করলে এই ডিভোর্স কিছুতেই হবে না। সৃজনের মাও চেষ্টা করতে থাকে কীভাবে ১০ লক্ষ টাকা জোগাড় করবে।
নিজের গয়না বেচলেও হবে না। এই সুযোগ নেয় ফুলমাসি অর্থাৎ বটব্যাল। সে ১০ লক্ষ টাকা দিতে চায়। কৃষ্ণা নিয়ে নেয়, কিন্তু সৃজন রাজি হয় না। পর্ণা এসব শুনে তিন্নিকে খুব কথা শোনায়। এবং হুশিয়ারি দেয় তার মাথার তার কাটলে সে কি পারে সেটা তিন্নি যেন মনে রাখে। বটব্যাল টাকা জোগাড় করতে তিন্নি, অয়ন, আর মৌমিতার সঙ্গে কোথাও যাচ্ছে সেটা পর্ণা ছাদ থেকে দেখেও ফেলে।
আরও পড়ুনঃ ‘বৌয়ের পয়সায় খাওয়া যায়না’! পর্ণার উপকারের প্রতিদানে ডিভোর্স দিচ্ছে সৃজন
তবে পর্ণা হঠাৎ লক্ষ্য করে ফুলমাসি পুলিশ দেখে বেজায় ভয় পেয়ে যায়। আর তারপর সেই সন্দেহ কাটার আগেই মৌমিতার ছেলে কাগজে বটব্যালের ছবিতে আঁকিবুকি করে তাকে ফুলমাসি বানিয়ে মজা করে পর্ণাকে দেখায় পর্ণাও দুয়ে দুয়ে চার করে ফেলে। আর সকলের সামনে একটানে নকল ফুলমাসির নকল সাজ খুলে দেয়। তারপর আবারও বটব্যালকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সকলে।