জি বাংলার (Zee Bangla) যে ধারাবাহিকের কাহিনী জমে ক্ষীর সেই ধারাবাহিকটি হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। ধারাবাহিকের প্রধান শত্রু হল ইশা। এই ইশা সবসময় দত্ত বাড়ির খারাপ চেয়ে এসেছে। শুধু দত্ত বাড়ি নয়, দত্ত বাড়ির পাশাপাশি পর্ণা আর সৃজনেরও খারাপ চেয়ে এসেছে। এই ইশাকে ধরতে পর্ণা আর সৃজন নতুন পরিকল্পনা করে।
সৃজন আর পর্ণা জানে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হলে তা ভাঙতে চাইবে ইশা। কিন্তু যদি তাদের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক থাকে, তাহলে সেই খারাপে সে আনন্দিত হবে, এবং তাকে ধরা সহজ হবে। আর ঠিক সেটাই হল। সৃজন আর ইশা রেস্টুরেন্টে ডেটে যায়। আর সেখানে অনুভব সৃজনকে একটা চিঠি দেয়, তাতে লেখা রয়েছে ইশাকে ডায়মন্ডের লোভ দেখিয়ে সরাও।
সৃজন ইশাকে সেইভাবেই বলে। সে বলে তার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে, তাই তার সাথে আলাদা করে দেখা করতে হবে। এই কথা শুনে ইশা রাজি হয়ে যায়। এরপরে সৃজন ইশাকে নিয়ে একটি সুন্দর রুমে যায়, যেখানে সবটা বেলুন দিয়ে সাজানো ছিল। রুম দেখে খুশি হয়ে যায় ইশা। এরপরে সৃজন একটা চেয়ারে ইশাকে বসায়। তারপর ইশার চোখ বাঁধে।
আরও পড়ুনঃ প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুমুখে পরাগ! সব ভুলে ফের ছুটল শিমুল
তারপর ইশার হাত বাঁধে। এরপরে গলায় পটকা বাজির মালা পড়ায়। ইশা ভাবে সৃজন তাকে ডায়মন্ড নেকলেস পড়িয়েছে। তারপর পর্ণা এসে বলে চোখটা খুলে দিতে। চোখ খুলে দিতেই ইশা দেখে তার গলায় এই মালা। প্রথমে খুব ভয় পেয়ে যায়। এরপরে একে একে দত্ত বাড়ির সকলেই এসে উপস্থিত হয়। জেঠুও রয়েছে পর্ণার পাশে। পর্ণা ইশাকে বলে সে যদি সব অন্যায় না স্বীকার করে তাহলে তাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
কালিপটকার আগুনে সে শেষ হয়ে যাবে। এরপরে ভয় পেয়ে ইশা সবটা স্বীকার করে। সে পর্ণা আর সৃজনকে আলাদা করতে চেয়েছিল। তাই পর্ণার ছবি সে বিকৃত করে। কিন্তু সেটা বিফলে যাওয়ায় শাড়ির গোডাউনে আগুন লাগায়। তারপরও যখন কিছু হলনা তখন জেঠুর মশলার দোকানে কেমিক্যাল মেশায়। এইভাবেই সবটা স্বীকার করে সে। এবার দেখার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কিনা।