Neem Phooler Madhu : টিআরপিতে প্রথম পাঁচে স্থান অধিকারী জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। ধারাবাহিকে জুটি বেঁধে কাজ করছেন রুবেল দাস এবং পল্লবী শর্মা। এই দুই জুটিকে দর্শকরা বেশ পছন্দ করেন। এই জুটির পর্দার নাম সৃজন এবং পর্ণা। বেশিরভাগ লোকজন তাদের এই নামেই চেনেন। দর্শকদের ভালো লাগলে কি হবে, সৃজন আর পর্ণার বাড়ির লোকের তো আর ভালো লাগছেনা।
তাই তারা উঠেপড়ে পর্ণার আর সৃজনের জুটিতে ভাঙ্গন ধরাতে ব্যস্ত। পর্ণা কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নন, পর্ণা নিজেদের সম্পর্ককে জুড়তে ব্যস্ত। সবে মাত্র শেষ হয়েছে পর্ণা-সৃজনের বিবাহবার্ষিকী। আর এই সুন্দর সময়ে আবারও একে অপরের কাছাকাছি আসে। পর্ণা এবং সৃজনের ডিভোর্সটা স্থগিত হয়ে যায়। সৃজনের বাবা দুজনের হানিমুনের ব্যবস্থা করেন, অনেক ঝামেলা ঝঞ্ঝা পেরিয়ে তারা হানিমুনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হয় না। মাঝপথে ফোন আসে চয়নের। এরপর সে চয়ন আর রুচিরার বিয়ে দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। রুচিরার সাথে চয়নের এই বিয়েটা মেনে নেয়নি চয়নের বাবা। কিন্তু পর্ণার বুদ্ধির কাছে হার মেনে শেষ পর্যন্ত রাজি হন তিনি। সব ঠিক হলেও, সৃজনের মন কিছুতেই পাচ্ছিল না পর্ণা। আবার তাদের সম্পর্কে ভাঙন দেখা যায়।
এই ভাঙনকে আরও ভাঙতে সাহায্য করেছে ইশা, কৃষ্ণা, মৌমিতা। পর্ণাও আর পারছে না , এই ভাবে সৃজনের থেকে দূরে থাকতে। আর তাই সে একটা বড় পরিকল্পনা করল। ইশার পরিকল্পনাকেই হাতিয়ার বানালো। ইশা সৃজনকে একটা রেস্তোরাঁতে অপেক্ষা করতে বলে। আর সেই রেস্তোরাঁতেই পৌঁছে যায় পর্ণা।
পর্ণা সৃজনকে বলে, ‘সৃজন তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছ!’ এই বলেই পর্ণা অন্য লুকে অন্যভাবে সৃজনের সামনে উপস্থিত হয়। সৃজন তো পর্ণাকে দেখে অবাক। এরপর পর্ণা বলে, ‘আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি সৃজন। ‘ এরপরই দেখা যায়, হাতে ফুল নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে সৃজনকে প্রেম নিবেদন করে আর বলে, তোমার সাথে আর ঝগড়া করতে ভালো লাগছে না। সৃজনও এই কথা শুনে প্রস্তাবটাকে গ্রহণ করে। সেও নিজের ভালোবাসার কথা জানায়।