কারোর স্বভাব কখনো বদলায় না। হয়ত বদলায়, তবে সেটা ক্ষণিকের, সেটা চিরন্তন নয়। আর তার প্রকৃত উদাহরণ হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু'(Neem Phooler Madhu)র সৃজন। এই সৃজনকে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল অন্য মানুষ হিসেবে। পর্ণার প্রতি সে খুব যত্ন নিচ্ছিল। তাকে চোখে হারাচ্ছিল। তার প্রতি ছিল নিখাদ ভালোবাসা। কিন্তু এখন সেই ভালোবাসাটা উবে গেছে। আর শুধুই রয়েছে সন্দেহ। যদিও সৃজন আগাগোড়াই ছোট ছোট কথায় পর্ণাকে সন্দেহ করত। এটা নতুন কিছুই নয়।
ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, পর্ণার ভালো কেউ সহ্য করতে পারেনা। পর্ণাকে কেউ ভালো বলছে তা পর্ণার শত্রুরা একদমই চায়না। আর তাই তো সবসময় তার ক্ষতি করে। পর্ণার কাছে একটা সুযোগ আসে ম্যাগাজিনের জন্য ফটোশ্যুটের। সেই ফটোশ্যুট সে ভালো ভাবেই শ্যুট করে, সৃজন প্রথমে বাঁধা দিলেও, তার তোয়াক্কা না করেই পর্ণার কাজটা সাকসেসফুল হয়।
এরপর পর্ণার বন্ধু অনুভব তার ওই ছবিগুলো নিয়ে বাড়ির সবাইকে দেখায়। পর্ণার শত্রুরা বাদে বাকি সবাই ছবি দেখে প্রশংসা করে। সবই ঠিক ছিল, ওই যে কথায় আছে তীরে এসে তরী ডোবে। পর্ণার ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হল। ইশা আর মৌমিতারা চক্রান্ত করে পর্ণার ফটো বিকৃত করে। আর সেই ছবি পাড়ায় পাড়ায় টাঙিয়ে দেয়। আর এটা দেখে পর্ণাকে ভুল বোঝে সৃজন। অনুভবকেও কথা শোনায়।
আরও পড়ুনঃ পর্দার দূরত্ব গড়িয়েছে বাস্তবে, ভেঙে যাবে রানী-দুর্জয় জুটি? চিন্তায় দর্শক
সৃজনের এরূপ ব্যবহারের জন্য পর্ণা অনুভবের কাছে ক্ষমা চাইতে যায়। এর পাশাপাশি পরিকল্পনা করে, এই কাজের পিছনে কে কে জড়িত? তাকে কীভাবে খুঁজে বের করা যায়? কিন্তু সৃজন পর্ণা আর অনুভবকে একসাথে দেখে সৃজন আবারও ভুল বোঝে। পর্ণাকে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে আসে। সবার সামনে অপমান করে।
সৃজন বলে, ‘তোমাকে ভালোবাসাই আমার সবথেকে বড় ভুল। মা ঠিকই বলে মেয়েদের এত স্বাধীনতা দিতে নেই। তুমি যদি এই বাড়িতে থাকো, তাহলে আমার মতো থাকো। নাহলে দরজা খোলা আছে বেড়িয়ে যাও’। পর্ণা এই কথায় খুব কষ্ট পায়। সে ঠাম্মির কাছে যায়। ঠাম্মি পর্ণাকে বলে, ‘তুই পারবিনা সৃজনকে বদলে দিতে?’ পর্ণা বলে, সে হেরে যাওয়ার মেয়ে নয়। আর তাই সে এমনভাবে সৃজনকে তৈরী করবে, সবাই তার মতোই স্বামী চাইবে। আর এটাই তার বর্তমান লক্ষ্য।