বাস্তবে যা ঘটে সেটাই দেখা যায় ধারাবাহিকের কাহিনীতে। বাস্তবে এমন অনেক নৃশংসকর ঘটনার সম্মুখীন হই, যা দেখে নিজেদেরই অনেক লজ্জা লাগে। গার্হস্থ্য জীবনের সবচেয়ে বড় নৃশংসকর ঘটনা হল সম্পত্তি ভাগ। এই সম্পত্তি ভাগে সম্পর্কটাও ভাগ হয়ে যায়। আর এই সম্পত্তি ভাগের ফলাফল কতটা ভয়ানক হতে পারে।
আর এর ফলে পরিবারের সম্পর্ক কতটা ক্ষীণ হয়ে যায় সেটাই তুলে ধরল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Modhu) ধারাবাহিক। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা গেছে , সুন্দর একান্নবর্তী পরিবারে নেমেছে বিচ্ছেদের ছায়া। সৃজনের জেঠু চাইছে বাড়ি ভাগ করতে। আর তাই সে বাড়িতে বেড়া দিচ্ছে। এর আগে হাঁড়ি আলাদা হয়েছে, এবার বাড়ি ভাগ হল।
কিন্তু পর্ণা কথা দেয় ঠাম্মিকে এ বাড়ি ভাগ হতে দেবেনা। পর্ণা জানায়, ‘তুমি তো নিজে আমাকে পছন্দ করে এই বাড়ির বউ করে এনেছ। তুমি নিশ্চয়ই জানো এই বাড়িকে আমি এক করে রাখব। বিশ্বাস করো ঠাম্মি, আমি তোমায় আশাহত করবনা। আমি নিজের ইচ্ছায় যৌথ পরিবারের বউ হয়ে এসেছি। এই বাড়ি আমি ভাগ হতে দেবনা’।
কিন্তু সৃজনের মা, জেঠু, বড় দা, মৌমিতা সকলেই চায় বাড়ি ভাগ হোক। আর তাই সৃজনের জেঠু বাড়ির সিংহ ভাগ নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য উকিলের থেকে সমস্ত কাগজপত্র জোগাড় করে ঠাম্মির সই নকল করার পরিকল্পনা করে। চুপিচুপি ঠাম্মির ঘরে ঢোকে সৃজনের জেঠু, সই নকল করার জন্য। কিন্তু পর্ণা সবটা জেনে যায়। এরপর বাড়ির সকলকে ডেকে আনে।
কিন্তু জেঠু যে কাগজটি নিয়ে গেছে, সেখানে ঠাম্মির টিপ ছাপ পড়েনি, শুধু কালি পড়েছে। জেঠুর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। কারণ পর্ণা এটা আগে থেকেই জানত। এরকম কিছু হতে চলেছে। আর তাই সে ঠাম্মির হাতের আঙুলে টেপ লাগিয়ে দেয়, যাতে ঠিক করে ছাপ না ওঠে। এরপর কী হয় সেটাই দেখার। বাড়ির পরিস্থিতি যে ভয়ানক হয়ে উঠবে তা বোঝায় যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সব ঠিক করবে সেটাই দেখার।