জী বাংলার (Zee Bangla) নতুন ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। শুরু থেকেই এই সিরিয়ালটি বেশ চর্চায় রয়েছে। টিআরপি তালিকাতেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই ধারাবাহিকটি। এখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা রুবেল দাস ও অভিনেত্রী পল্লবী শর্মাকে। এর আগে অভিনেতা রুবেলকে সর্বশেষ জী বাংলারই সিরিয়াল যমুনা ঢাকিতে দেখা গিয়েছিলো। আর অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা স্টার জলসা চ্যানেলের জবা নামেই পরিচিত দর্শকের কাছে।
কে আপন কে পর ধারাবাহিকের জবা চরিত্রটি দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকটি চেনা গল্পের ভিন্ন স্বাদ নিয়ে পর্দায় হাজির হয়েছে। অর্থাৎ ধারাবাহিকে যা দেখানো হচ্ছে তা কোথাও না কোথাও গিয়ে মধ্যবিত্ত এক পরিবারের ঘরোয়া গল্প। তবে এই গল্পের ছবিটা বর্তমান সমাজে কিছুটা পাল্টেছে। আর তাই দর্শকের কাছে ধারাবাহিকের এই গল্প বড্ডো বেশি ধারালো ছুরির মত বিঁধছে।
গল্পের শুরুটা হয়েছিল খাঁটি বাঙালি পরিবারের বিয়ের পর্ব দিয়ে। পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দুটো পরিবারের মাঝে বিয়ের সাদৃশ্যটা তুলে ধরা হয়েছিল। তবে পাশাপাশি বর্তমান সমাজের কোথাও খেয়াল রাখা হয়েছে। যেমন বিয়ের মণ্ডপে বরযাত্রীদের আপ্পায়নে ত্রূটির কারণ দেখিয়ে বরকে নিয়ে চলে যাবার হুমকি দেখানো হয়েছিল। তেমনই আবার বৌভাতের অনুষ্ঠানে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন যখন মেয়েকে ও তার পরিবারকে সকলের সামনে অপমান করছিলো।
মেয়ের মা বলে তখন কিন্তু পর্ণার মা পিছিয়ে যাননি। তিনি মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তাদের মুখের উপরে বলেছিলেন। দুই দিক মিলিয়েই এক চেনা গল্পের অন্যরকম স্বাদ গ্রহণ করছেন দর্শক এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। তবে দর্শক একেবারেই মেনে নিতে পারছেননা সৃজনের মায়ের ব্যবহার।
সম্প্রতি, আবারও নতুন এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃজনের মায়ের প্রতি ক্ষুন্ন হলেন দর্শক। সৃজনকে অফিসে যাওয়ার আগে ভাত বেড়ে দিচ্ছে পর্ণা আর সেই দেখেই কষ্টে চোখের জল ফেলছেন সৃজনের মা। তা কথায় সৃজন কখনও তার হাতে ছাড়া অন্য কারুর হাতে খেতেই পারেনা। কিন্তু তিনি যখন দেখলেন পর্ণা তার বরকে খাবার বাড়িয়ে দিচ্ছে তিনি আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলেননা।
আবার খোঁটা দিয়ে পর্ণাকে বললেন সবই সে গুছিয়ে করছে। ছেলেও যখন তাকে প্রশ্ন করে ‘মা নিচে এলে না কেন?’ তখন তিনি ছেলেকে বলেন তার কি দরকার পর্ণা তো তাকে গুছিয়েই খেতে দিয়েছে। সৃজনের মায়ের বারবার এমন আচরণে বড়ই বিরক্ত দর্শক। আজকাল কোনো মা ই এতটা বাড়াবাড়ি করেননা। আবার অনেকে চেনা গল্প দেখেও জ্বলে উঠছেন। অনেকে বলছেন ‘যদি এমনটাই করার ছিল, তাহলে ছেলের বিয়ে দিতে গেলেন কেন?’