জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। ধারাবাহিকটি জনপ্রিয় হয়েছে, কখনো সমালোচনার জন্য আবার কখনো ধারাবাহিকের কাহিনীর অনন্যতার জন্য। ধারাবাহিকে শাশুড়ির সাংঘাতিক কীর্তিকলাপ দেখে দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। আবার কখনো একান্নবর্তী পরিবারের ধাঁচ দেখে, পারিবারিক ভাবে বিয়ের নিয়ম, আচার-অনুষ্ঠান দেখে সবাই আবেগে আপ্লুত হয়েছে। তাই বলাই যায় এই ধারাবাহিক ভালো-মন্দের সংমিশ্রণ দর্শকের কাছে।
ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা সকলেই জানেন পর্ণা সৃজনের একসাথে থাকা অনেকেই চায় না। বিশেষ করে পর্ণার শ্বাশুড়িই চান যেন পর্ণা আর সৃজন আলাদা হয়ে যায়। সৃজনের মা কৃষ্ণা কোনোভাবেই চায়না পর্ণা-সৃজনকে একসাথে দেখতে। যাতে দুজনে আলাদা থাকে, তাই সবসময় ফন্দি আটতে থাকে। অন্যদিকে মৌমিতার বোন তিন্নিও চায়না, দুজন একসাথে থাকুক। কারণ সে সৃজনকে বিয়ে করতে চায়, আর তাই সেও ফন্দি আটতে থাকে।
এবারে তাই কৃষ্ণা, মৌমিতা, তিন্নি আর অয়ন এই চারজনে মিলে একটা ফন্দি আটে। পর্ণা – সৃজনের মনোমালিন্য চলছে, আর সেই সুযোগকে সকলেই কাজে লাগায়। পর্ণা-সৃজনের মাঝে জোর করে তিন্নিকে আনার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া একটি প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, তিন্নি সৃজনকে গিয়ে বলে কমলালেবু খাইয়ে দেব? সৃজন তাকে পাত্তা না দিয়ে অফিসে বেড়িয়ে যায়।
এরপর পর্ণা বলে , ‘কি ব্যাপার এত সৃজন সৃজন করছ?’। এরপর তিন্নি জানায়, ‘সৃজনদার সাথে না বিয়েটা আমার হওয়ার কথা ছিল’। এরপর কমলালেবুর রস চেপে তিন্নির চোখে দেয় পর্ণা। পর্ণা জানায়, ‘ সৃজন আমার বর, ঝগড়া করলেও আমি করব, লেবু খাওয়ালেও আমিই খাওয়াব’। তিন্নিকে দেওয়া পর্ণার এই জবাব দর্শককে বেশ আনন্দ দিয়েছে।
পর্ণার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকমহলে, এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যাক এবার জবার মত চরিত্র থেকে বের হয়ে একটুখানি হলেও স্ট্রং ভূমিকায় দেখাচ্ছে পল্লবী শর্মা কে’। আবার অনেকে কমলালেবুর রস চোখে দেওয়া দেখে বেশ খুশি হয়েছেন। আর লিখেছেন, ‘আগে ভাবতাম লঙ্কা আর লবণ ছুঁড়ে মারবো এখন ভাবলাম কমলালেবু দিলেই চলবে’। অনেকেই বলছেন একেবারে যোগ্য জবাব দিয়েছে।