স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক সকলের মন ছুঁয়ে গেছে। কারণ ধারাবাহিকের কাহিনী নারীত্বের গল্পের উপরেই পরিবেশিত। আর তাই এরকম অনন্য গল্প সকলেরই বেশ ভালো লাগছে। সকলকেই টিভির পর্দায় আধঘণ্টা বসিয়ে রাখতে বাধ্য করে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, ডোডো বিয়ে করছে মৌ কে। কিন্তু ডোডোর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল চাঁদনীর সাথে। কিন্তু ঘটনাচক্রে ১২ বছরের পরিচয়কে ভুলতে হয় ডোডোকে। ডোডোর সাথে মৌকে দেখে মনে ভারাক্রান্ত চাঁদনীর। তাই সে বলে ওঠে, নির্ঝরের সাথে মৌ কে মানিয়েছে না। আমার থেকে বেশি মানিয়েছে। নির্ঝরের মা বীথি মেনে নিতে পারেননি মৌকে। তার পছন্দ চাঁদনী কে। সে সবসময় অপমান করে মৌকে।
এমতাবস্থায় নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে , চাঁদনী তার নেকলেসটা মৌকে দিতে চায়, কি মৌ সেটা নেয়না। কারণ এটা পড়লে তার মনে হবে, অন্য একজনের জায়গায় এসেছে, সেটা ওর কাছে খুবই কষ্টের। তবে এই প্রোমো দেখে অনেকেই দুজনের প্রশংসা করেছেন। কারণ সাধারণত ধারাবাহিকে দেখা যায়, যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তার সাথে বিয়ে না হলে, সে হয়ে যায় খল। এখানে তেমনটা দেখা যায়নি।
তাই এক অনুরাগী বলেছেন, ‘চাঁদনী বাস্তবিক বুদ্ধি বিবেচনা সম্পন্ন একটা মেয়ে, ও অন্য দের মতো মৌ কে কোনো কটু কথা বলেনি কারন ও বুঝতে পেরেছে যে এতে মৌ এর কোনো দোষ নেই, মৌ নির্ঝর কে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজী হয়েছে।চাঁদনী মৌ কে নিজের বোনের মতো ভাবে, ও মন থেকেই ওর বিয়ের গয়না দিয়ে মৌ কে সাজাতে চেয়েছিলো। কিন্তু মৌ ওই গয়না দিয়ে সাজতে চায়নি কারন ওগুলো চাঁদনী র বিয়ের গয়না ছিলো।
চাঁদনী র গয়না পড়ে বিয়ে করা ওর জন্য খুব ই কষ্টকর হতো, ওর বার বার মনে হতো অন্যের জায়গায় ও এসেছে। চাঁদনী বুদ্ধিমতী ভালো একটা মেয়ে, আমার বিশ্বাস আর কেউ না বুঝলেও ও ঠিক ই বুঝবে মৌ আত্মসম্মানের জন্য ই গয়না নেয়নি,, চাঁদনী কে অসন্মান বা অপমান করার কোনো উদ্দেশ্য ই মৌ র ছিলোনা’।