জি বাংলার (Zee Bangla) একটি উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। সবসময় সবার শিরোনামে রয়েছে ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকের সুন্দর কাহিনীর জন্য নয়, ধারাবাহিকটি এতবার ট্রোলের মুখে পড়ছে যে, সবাইকে সরিয়ে শিরোনামে থাকতে বাধ্য। বাবুর মার কীর্তি কলাপ দেখে দর্শকরা টেনে নিয়ে আসছেন শিরোনামে। সম্প্রতি বাবুর মা এমন এক কান্ড করল, যাতে আবারও শিরোনামে দেখা গেল।
আর এই শিরোনামের জন্যই বোধহয় টিআরপি তালিকায় সেরার সেরা। সৃজন-পর্ণার নিম ফুলের মধু ছিল পঞ্চমে, কিন্তু ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তায় ধারাবাহিক উঠে এসেছে তৃতীয়তে। যা সকলকেই চমকে দিয়েছে। বাবুর মায়ের বিদ্বেষ, একান্নবর্তী পরিবারের বন্ডিং, পর্দার প্রতিবাদী সত্তা এই সবকিছুই ধারাবাহিককে ভালো ফলাফল দিয়েছে।
সৃজন-পর্ণার মিলনের মাঝে সবসময় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শাশুড়ি কৃষ্ণা। সবসময় একটা প্রাচীন সংস্কারকে আকড়ে ধরে রেখেছে। তার জীবনে নেই আধুনিকতা। শুধুই রয়েছে প্রাচীনপন্থা। আর তাই তিনি মনে করেন, ছেলেরা বাড়ির বাইরে যাবে, জোর গলায় কথা বলবে। কিন্তু মেয়েরা সবসময় থাকবে ঘরের কোণে। তাদের প্রতিবাদ করার অধিকার নেই। তারা বাইরে কাজকর্ম করবেনা, গুছিয়ে সংসার করবে।
এই ধারণাটা পর্ণার জীবনে যেমন আলোকপাত করতে চেয়েছেন, তেমনই তাঁর মেয়ের জীবনেও করতে চেয়েছেন। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বর্ষার সাথে কয়েকজন ছেলে অসভ্যতা করেছে। আর তাই পর্ণা বর্ষাকে টেনে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই কৃষ্ণা জানায়, পাত্রপক্ষ আসছে, একটা পাও নড়বে না। বর্ষা জানায়, সে বিয়ে করতে রাজি নয়, আরও পড়তে চায়।
এরপরই বর্ষার মা গালে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে বলে, ‘আপদ বিদায় না করতে পারলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবনা’। পর্ণা বর্ষাকে জানায়, মেয়েরা আপদ নয়, এই বিয়ে আমি কিছুতেই হতে দেবনা। অনেকেই আবারও বাবুর মায়ের প্রতি সমালোচনা করেছেন। একজন বলছেন, ‘ মহিলার সারাদিন বাবু বাবু আদিখ্যেতা দেখে বুঝেছিলাম মেয়ের প্রতি কোনো টান নেই’। পর্ণা যেভাবে বর্ষার পাশে দাঁড়িয়েছে, সবাই বলছেন, এরকম বৌদি যেন সবার ঘরে ঘরে হয়।