সবাই জানেন, ধারাবাহিকের শেষ কথা টিআরপিই বলে। আর তাই টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফল রাখতে ধারাবাহিকে আনা হয় বড়সড় চমক। আর এই চমকের ভিড়ে কখনো হয়ে যায় অতিপ্রাকৃত জিনিস, কখনো হয়ে যায় কুশিক্ষার জিনিস। এসবের ফলাফল ট্রোল। ধারাবাহিকের ঘটনা দেখে ধারাবাহিকের নির্মাতাদের বারবার পড়তে হয় ট্রোলের মুখে। সম্প্রতি আবারও একটি ধারাবাহিক ট্রোলের কারণে উঠে এল শিরোনামে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিকের নাম হল, ‘এক্কাদোক্কা’ (Ekka Dokka)। ধারাবাহিকটি খুবই প্রশংসিত। ধারাবাহিকের কাহিনী প্রথমে দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। কারণ একটা বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়ের ডাক্তার হওয়ার সংগ্রাম দিয়ে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটি। প্রথমের গল্প এরূপ থাকলেও, দ্বিতীয় বারের গল্প অন্যরকম। গল্পের মাঝপথে চলে এল অন্য গল্প।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের লড়াই কমে গেছে। বরং আছে সেই পারিবারিক কূটকাচালি। এখন দেখা যাচ্ছে, যে রাধিকার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। সেই রাধিকায় আজ শ্বশুর বাড়ি পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে। পোখরাজের মা রাধিকাকে মেনে নেয়নি। তাই রাধিকাকে দেখে, পোখরাজের মা তাকে ঠেলে ফেলে দেয়। তারপর দেখা যায়, রাধিকার মাথা কেটে গেছে। এ হেন দৃশ্য দেখে সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাই তারা বলছে, পোখরাজের মায়ের চরিত্রের উপর কোনো শ্রদ্ধা নেই।
তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কোন শাশুড়ি ছেলের বউ এর প্রতি এতটা হিংসা পরায়ন হয়। এতটা অমানবিক কি করে হতে পারে একটা মানুষ। এরপরই তারা অনুরোধ জানাচ্ছেন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কে। চরিত্রের ভালো কিছু ভূমিকা দেখান। এক অনুরাগী তাই লিখেছেন, ‘সন্তানের সুখের জন্য তার হাসি দেখার জন্য মায়েরা কতো ত্যাগ স্বীকার করে। জানিনা এ কেমন পোখরাজের মা?
এতো কঠিন কেন উনি.. মায়েরা কি এতো কঠিন হয়…যে মা দশ মাস গর্ভে সন্তান ধারন করে সে মা বুঝি তার নিজের স্বার্থের জন্য সন্তানের প্রতি এতো অমানবিক হয়..আমার মাথায় ধরেনা…আজ পোখরাজ তার মায়ের সাথে কাঁদো কাঁদো কথাবলা গুলো সত্যি আমার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে…বলার আর কিচ্ছু নেই…দেখি পোখরাজের মা আর কতোদিন রাধিকার উপর নির্যাতন করে যেতে পারে’।