আমরা সকলেই ট্রেন্ডে ভাসি, আর সেই ট্রেন্ডের সূচনা কি দেখে হয় বলুন তো?এই সিনেমা-সিরিয়াল থেকে। সিনেমা-সিরিয়াল নির্মিতারাও বেশ মজা পান নতুন নতুন ট্রেন্ড এনে, আর তাই তো দেখা যায় প্রায়সই তারা দর্শকদের সামনে নানান ধরনের ট্রেন্ড নিয়ে আসে। কখনো সিঁদুরের ট্রেন্ড আবার প্রোপোজালের ট্রেন্ড।
এই ট্রেন্ডের চক্করে সকলেই মোহিত এতদিন আমরা দেখেছি, প্লেট উল্টে গিয়ে সিঁদুর পড়তে, আবার কখনো দেখেছি সাধারণ ভাবে সিঁদুর পড়তে, কিন্তু এবারে অন্যরকম ভাবে সিঁদুর পড়ানোর ভঙ্গিমা দেখালো ‘সোহাগ জল’ (Sohag Jol)। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’ যারা দেখেন তারা জানেন, বেনী বৌদি এখন অন্তঃসত্ত্বা।
আর তার গর্ভের সন্তানের বাবা শুভ্রর দাদা। বেনী তাকে শর্ত দেয়, সব সম্পত্তি তার নামে দিয়ে দিতে, কিন্তু সে দেয়না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সে শুভ্রর কাছে যায়। শুভ্রকে জানায়, সে অন্তঃসত্ত্বা, আর তাই সে আত্মহত্যা করতে চাইছে, কিন্তু যখন শুভ্র তাকে বাঁচাতে যায়, তখন সে শর্ত দেয় তাকে বিয়ে করতে হবে, তবেই সে বাঁচবে নাহলে মরে যাবে। এরপরই দেখা যায় জোর করে সিঁদুর পড়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু শুভ্র কিছুতেই সিঁদুর পড়াতে চায় না, কারণ সে ভালোবাসে জুঁইকে।এরপর দেখা যায় জোর করে নিজে হাতেই সিঁদুর পড়ে নেয়, বেনী। অনেকেই এই দৃশ্য দেখে ধারাবাহিকের সমালোচনা করেছেন। অনেকেই বলছেন এসবের জন্য সমাজ নষ্ট হয়। তবে এই বিয়ে শুভ্র কিছুতেই মানতে চায় না। সে জুঁইকেই ভালোবাসে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এখন সোহাগ জলে যা দেখানো হচ্ছে, তা ফ্যামিলির সাথে দেখা যায় না। বাড়ীর বিধবা মহিলা দের শুধু অসম্মান করা হয়নি, তাঁদের পরকীয়া দেখিয়ে চরিত্র হরণ করা হচ্ছে। কখনো বাচ্চা হবে দেখতে পারছি, কখনো জোর করে সিঁদুর পরতে দেখা যাচ্ছে। সমাজে বিধবারা কি সম্মান পাবার অধিকারী নন’?