Aratrika Maity-Rai : অনুশীলন এবং দক্ষতা থাকলে, সবকিছুই হয়। তার জন্য লাগেনা কোনো বয়স। এটার প্রমাণ বারবার পাওয়া যায়। আর এই কথাটার বড় একজন প্রমান হল টলিপাড়ার (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity)। বয়স মাত্র ২০, আর এই ২০ বছর বয়সেই, মা, কাকিমা, জেঠিমা, বড় দিদি সব চরিত্রেই সাবলীল। আর দর্শকও তার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বারংবার।
তিনি কখনো জি বাংলার (Zee Bangla) খেলনা বাড়ির মিতুল, আবার কখনো ‘মিঠিঝোরা'(Mithijhora)র রাই। দর্শক তাকে এভাবেই চিনেছেন। আরাত্রিকা নামটা কজনই বা জানেন। তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন এই খেলনা বাড়ি দিয়ে। আর বর্তমানে তিনি মিঠিঝোরাতে অভিনয় করছেন। এখানে তাঁকে দেখানো হয়েছে পরিবারের বড় মেয়ের চরিত্রে।
যার উপর রয়েছে সমস্ত দায়িত্ব। পরিবারের কল্যাণে সমস্ত কিছুই ত্যাগ করে দিয়েছে, ত্যাগ করে দিয়েছে নিজের ভালোবাসা। পর্দায় বয়স বেশি হলেও, বাস্তবে কিন্তু বয়স বেশি নয়। আরাত্রিকা সবেমাত্র প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর এই অল্প বয়সেই দেখিয়ে দিয়েছে কামাল। মিতুল চরিত্রের মধ্যে দেখা গেছে, পরিবারের বড় বউ, সন্তানের দায়িত্বশীল মা, পরিবারের রক্ষাকর্তা।
আরও পড়ুনঃ তিস্তাকে মেরে হতে চেয়েছিল লাখপতি, চাপকে ভিক্টরের পিঠের ছাল তুলে নিল অর্জুন
তাঁর এই অভিনয়, কখনোই মনে করায়নি, যে সে বাচ্চা। মনে হয়েছে সঠিক বয়সের সঠিক চরিত্র। আবার রাই এর চরিত্রেও দেখা গেছে একটা ম্যাচিউরিটি। সব মিলিয়ে সকলেই তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ্য, ছোটো থেকেই আরাত্রিকার ইচ্ছা ছিল অভিনয় করার। আর তাই তো সেই দিকেই তিনি এগিয়ে গেছেন। পঞ্চম শ্রেণীতে প্রথম পড়তে পড়তেই অডিশন দিয়েছেন।
তবে ধারাবাহিকে ক্যামেরার সামনে যখন আসেন, তখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সেই ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’। ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন বটে, কিন্তু তাঁর চরিত্রের মধ্যে ছিলনা, কোনো সংলাপ, শুধুই ছিল দাঁড়িয়ে থাকা। এরপরে ২০২১ মানে তখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্রী। লকডাউনের সময় অডিশন দিয়ে সিলেক্ট হন। এরপরে যখন একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী তখন খেলনা বাড়িতে অভিনয় করেন। মানে বুঝতে পারছেন, আঠারো হওয়ার আগেই হয়ে গেছেন মা।